স্টাফ রিপোর্টার ॥ অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আলী ঢাকা মেডিক্যালের আইসিইউতে। দফায় দফায় বিভিন্ন ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। গত ১৫ জানুয়ারি পুরান ঢাকার এই অভিনেতা হার্টএ্যাটাক করলে তাকে নিকটস্থ ওয়ারী ডায়াবেটিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। সেখানে তিন দিন থাকার পর তাকে চ্যানেল আইয়ের সহযোগিতায় জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটালে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। প্রায় ১৫ দিন যাবত তিনি ঢাকা মেডিক্যালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। ফরিদ আলীর বড় ছেলে ইশতিয়াক আলী শুভ জনকণ্ঠকে বলেন, দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য আব্বাকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে হবে। তাছাড়া তাকে বাঁচানো কোনভাবেই সম্ভব নয়। আমরা আর্থিকভাবে অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়েছি। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ তিনি যেন তার সহযোগিতার হাত আমার বাবার দিকে বাড়িয়ে দেন। ফরিদ আলী কৌতুক অভিনয়ে দর্শকমনে এখনও দাগ কেটে রয়েছেন। বিশেষ করে ‘টাকা দেন দুবাই যাব, বাংলাদেশে থাকবো না’ এই সংলাপটির সঙ্গে যারা পরিচিত তারা একবাক্যেই উচ্চারণ করবেন অভিনেতা ফরিদ আলীর নাম। শুধু অভিনয় নয়, নাটক লেখা ও নির্দেশনায়ও সিদ্ধহস্ত ছিলেন এই শিল্পী। ৭৫ বছর বয়সী ফরিদ আলী পুরান ঢাকার ঠাটারি বাজারের বাসিন্দা। গত ঈদে তিনি আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় ‘পূর্ণিমার চাঁদে মেঘ’ নাটকে অভিনয় করেছেন। তবে কবে সর্বশেষ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তা এখন মনে করতে পারছেন না ফরিদ আলী। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ফরিদ আলীকে বঙ্গবন্ধু ‘চাল্লি ফরু’ বলে ডাকতেন। এ নামে কেউ ডাকলে তখন ভীষণ ভাল লাগে তার।