ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

‘চ্যাপেল-হ্যাডলি’ ট্রফি

দুই তাসমান প্রতিবেশীর লড়াই

প্রকাশিত: ০৭:১৫, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

দুই তাসমান প্রতিবেশীর লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে আজ। একদিকে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে বিধ্বস্ত করে উড়ছে স্বাগতিক কিউরা। অন্যদিকে ক্রিকেটটা খারাপ খেলছে না ওয়ানডে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অসিরা। ক’দিন আগে পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচে মোড়ল দেশ ভারতকে ৪-১ এ হারায় স্টিভেন স্মিথের দল। শক্তিধর দুই তাসমান প্রতিবেশীর দ্বৈরথ ঘিরে তাই আগ্রহের কমতি নেই। সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে ‘চ্যাপেল-হ্যাডলি’ ট্রফি নিজেদের ঘরে রাখতে মরিয়া কিউইরা। তার ওপর এটিই অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের শেষ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে সিরিজ। অন্যদিকে বিদেশের মাটিতে ভাল করার বাড়তি চ্যালেঞ্জ স্মিথদের। বাংলাদেশ সময় সকাল সাতটায় শুরু উত্তেজনার আগাম উত্তাপ ছড়ানো সিরিজের প্রথম লড়াই। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে রীতিমতো ছেলে খেলা করে কিউইরা। প্রথমে ২-০তে টেস্ট, এরপর ৩-১এ ওয়ানডে এবং ২-০এ টি২০ সিরিজ জেতে নিউজিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসন-ম্যাককুলামদের সে দাপট অব্যাহত থাকে পাকিস্তান সিরিজেও। প্রথমে ২-১এ টি২০ এবং পরে ওয়ানডে সিরিজে ২-০তে পাকিদের উড়িয়ে দেয় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। সব মিলিয়ে দলটি দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে। ম্যাককুলাম গত বছরই ঘোষণা দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন তিনি। তিন ওয়ানডের পর রয়েছে সমান ম্যাচের টেস্ট সিরিজÑ অর্থাৎ দ্বৈরথ ঘিরে আধুনিক ক্রিকেটের চিত্তাকর্ষক এই ব্যাটসম্যানের দিকে তাঁকিয়ে থাকবে স্বাগতিক ভক্তরা। যিনি প্রথমবারের মতো দলটিকে নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপের ফাইনালে। যদিও শিরোপা ছোঁয়া হয়নি। এই অস্ট্রেলিয়ার কাছেই হারতে হয়েছিল কিউইদের। ব্যাট হাতে ম্যাককুলামের বড় অস্ত্র পরবর্তী অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। টেস্ট, ওয়ানডে, টি২০ তিন ভার্সনেই অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করছেন তরুণ এই কিউই উইলোবাজ। আছেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা ওপেনার মার্টিন গাপটিল, ইনজুরি থেকে ফিরে এসে ঝলক দেখাচ্ছেন কোরি এ্যান্ডারসন, প্রত্যাবর্তনে উজ্জ্বল হেনরি নিকোলস ও কলিন মুনরো। প্রয়োজনে কম যান না গ্র্যান্ট ইলিয়ন লুক রনকিরা। এ্যাডাম মিলনে, ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরিকে নিয়ে দলটির বোলিং আক্রমণও দুর্দান্ত। তবে প্রতিপক্ষ যেহেতু অস্ট্রেলিয়া, তাই সতীর্থদের সতর্ক করে দিয়েছেন ম্যাককুলাম। স্বাগতিক অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা গত দুই মৌসুম চমৎকার খেলছি। তবে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। প্রতিপক্ষ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া খবুই শক্তিশালী। এটা আমার ও দলের জন্য অনেক বড় সিরিজ।’ অন্যদিকে অসি শিবিরে ডেভিড ওয়ার্নার ফেরায় ইনফর্ম উসমান খাজার না থাকাটা আলোচিত। অথচ ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেনিং করবেন শন মার্শ। এ প্রসঙ্গে স্মিথ বলেন, ‘শন এ মৌসুমে দারুণ পারফর্ম করে চলেছে। আমরা খাজার জায়গায় তাকে প্রথম সুযোগটা দিচ্ছি। খাজার সুযোগ শেষ হচ্ছে না। হয়ত পরের কোন ম্যাচে তাকে দেখা যাবে।’ অসি অধিনায়ক আরও যোগ করেন, ‘আমাদের ওয়ানডের পর পরই দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ রয়েছে। সেখানে ব্যাটিং শক্তি বাড়াতে খাজাকে প্রয়োজন। আমরা ওয়ানডে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। সম্প্রতি প্রতি ম্যাচেই ৩শ’র ওপরে রান করেছি। খাজার হতাশ হওয়ার কারণ নেই। সে সুযোগ পাবে।’ ১৯৭৪ থেকে এ পর্যন্ত ১২৭ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয় ৮৬টিতে। নিউজিল্যান্ডের জয় ৩৫ ম্যাচে। ৬ ওয়ানডে পরিত্যক্ত হয়। ২০০৯-২০১০ এ সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরে ৫ ওয়ানডের সিরিজ ৩-২এ জিতেছিল অসিরা। দু-দল নিজেদের মধ্যে শেষ ম্যাচটি খেলে বিশ্বকাপের ফাইনালে। মেলবোর্নে ১৮৩ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড হারে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
×