যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ‘দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার’ করতে এবং একটি অবাধ, উন্মুক্ত ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রদর্শন করতে মঙ্গলবার ঢাকায় এসেছেন।
সফরের প্রথমদিনেই ডোনাল্ড লু সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। দ্বিতীয় দিন বুধবার সবচেয়ে ব্যস্ত সময় পার করবেন তিনি। এই দিনে তিনি পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়কমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক করবেন।
মঙ্গলবার বেলা এগারোটায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা সফরে এসেই দেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডোনাল্ড লু। মঙ্গলবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের গুলশানের বাসায় এ বৈঠক হয়। ডোনাল্ড লুর সঙ্গে এই বৈঠকে গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, শ্রমিক নেতা ও জলবায়ু কর্মীরা অংশ নেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আখতার, শ্রমিক নেতা বাবুল আখতার, জলবায়ু কর্মী সোহানুর রহমান এবং মানবাধিকার কর্মী নুর খান লিটন।
মূলত দেশের নির্বাচন পরবর্তী সময়ের পরিস্থিতি নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ছাড়াও এই বৈঠকে কয়েকজন বিদেশী কূটনৈতিকও ছিলেন। এদের মধ্যে আছেন আমেরিকার দক্ষিণ ও এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর চিফ অফিস স্টাফ ন্যাথানিয়াল হাফট, ব্যুরো অব ইন্টেলিজেন্ট অ্যান্ড রিসার্চের বিশ্লেষক সারাহ আল্ডরিচ, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর রিড এসলিম্যান, পলিটিক্যাল কাউন্সিলর আর্তুরো হাইনস, ডেপুটি পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কাউন্সিল শ্যারন ফিটজগ্যারল্ড, পলিটিক্যাল অ্যাটাচ ম্যাথিউ বেহ এবং জার্মান রাষ্ট্রদূত আছিম ট্রোস্টার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন বলেন, মূলত নির্বাচন পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে জানতে চান লু। একইসঙ্গে নতুন সাইবার আইন বিষয়েও তিনি মন্তব্য শোনেন। বাংলাদেশের শ্রম খাতের সংস্কার এবং শ্রমিকদের জীবনমানসহ ট্রেউ ইউনিয়নসহ নানাবিধ বিষয়ে শ্রমিক নেতাদের কাছে শোনেন তিনি।