স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ তৃণমূল থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় তুলে আনতে জাতীয় স্কুল হকি টুর্নামেন্ট শুরু হলেও অংশ নেয়া কিশোররা চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ভালমানের খেলোয়াড় হতে প্রতিটি জেলায় আন্তর্জাতিক মানের নীল টার্ফের দাবি এই কিশোরদের। একই মত স্কুল হকির কোচদেরও। তবে নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্তে¡ও শিগগিরই দেশের ৮টি বিভাগে টার্ফ বসানোর পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে)।
গত ২৫ জানুয়ারি মাঠে গড়ায় জাতীয় স্কুল হকির তৃতীয় আসর। এবারের আসরে দেশের ৯টি ভেন্যুতে অংশ নেয় ৮০টি স্কুল। এর মধ্যে প্রতিটি ভেন্যু থেকে শীর্ষ দুটি দল ঢাকায় চূড়ান্ত পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে। বলা যায় দেশের হকিতে সবচেয়ে বড় এই স্কুল টুর্নামেন্ট থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় তুলে আনাই হকি ফেডারেশনের মূল উদ্দেশ্য।
৮টি বিভাগের বিভিন্ন স্কুল থেকে অংশ নেয়া এই খেলোয়াড়রা চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। টার্ফ, খেলাধূলার সরঞ্জাম, মানসম্মত কোচ আর পড়ালেখার পাশপাশি নিয়মিত অনুশীলন। তবে ভালমানের খেলোয়াড় হতে সবার আগে প্রতিটি জেলায় আন্তর্জাতিক মানের নীল টার্ফের দাবি কিশোরদের ।
তাদের এই দাবির কারণ একটাই-ঘাসের মাঠে বিভিন্ন ধরনের গর্ত থাকে। এ কারণে বিভিন্ন ধরনের যে টেকনিক আছে, সেগুলো ঠিকতো প্রয়োগ করা সম্ভব হয় না।
একই মত স্কুল হকির কোচদেরও। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি সঠিক পরিচর্যা পেলে জাতীয় পর্যায়ের হকিতে অবদান রাখবে এই কিশোররা। এদিকে এই টুর্নামেন্ট থেকে বাছাই করা সেরা খেলোয়াড়দের দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ দেবে ফেডারেশন। সেই সঙ্গে নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও শিগগিরই দেশের আট বিভাগে টার্ফ বসানোর পদক্ষেপ নেবে হকি ফেডারেশন।
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সাজেদ এ আদেল বলেন, আটটা বিভাগে যদি আমরা আটটা টার্ফ বসাতে পারতাম তাহলে তৃণমূল পর্যায় থেকে অনেক খেলোয়াড় উঠে আসতো। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি ভাল খেলোয়াড় তৈরি করতে।