ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী মার্চেই অনুমোদনের জন্য ঘোষণা দিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্টিনো

কাতারেও ৪৮ দলের বিশ্বকাপ!

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ৯ নভেম্বর ২০১৮

কাতারেও ৪৮ দলের বিশ্বকাপ!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ৪৮ দল নিয়েই অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ বিশ্বকাপ। এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। বিশ্বকাপের ২৩তম আসরের যৌথ আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো। তবে তার আগেই কাতার বিশ্বকাপে ৪৮ দল দেখা যেতে পারে। এমন সম্ভাবনার কথা আবারও জানালেন বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্টিনো। এ প্রসঙ্গে জুরিখে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘কেন নয়? আমরা ফুটবলের জন্যই কাজ করি। আগামী মার্চেই এটা (প্রস্তাব) অনুমোদনের জন্য হস্তান্তর করা হবে।’ বর্তমানে বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে খেলে ৩২টি দল। এই সংখ্যাটাকে বাড়িয়ে ৪৮ করা হলে আয়োজকদের জন্য চাপ বাড়বে। তবে ফুটবলের প্রসার হবে। একে একে বিশ্বের প্রতিটা কোণায় গড়িয়ে যাবে ফুটবল। ঠিক এমন আশা থেকেই ফিফা ভাবনা-চিন্তা করতে শুরু করেছিল। ফিফার সভাপতি এ ব্যাপারে নিজের অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘বিশ্বকাপের দল ৩২ থেকে বাড়িয়ে ৪৮ করা নিয়ে আমরা অনেক আগে থেকেই চিন্তা-ভাবনা করছিলাম। ২০২৬ বিশ্বকাপে আমাদের এই চেষ্টা বাস্তবে রূপ নিবে। এক্ষেত্রে বিশ্বকাপে যদি অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বাড়ে তা হলে এশিয়ার সম্ভাবনাও ৪.৫ থেকে বেড়ে ৮.৫ শতাংশ হবে।’ এক সঙ্গে ১৬টি দেশ এককালীন যোগ হলে আয়োজকদের ওপর চাপ বাড়বে। সেই সঙ্গে নতুন করে অনেক কিছুই ভাবতে হবে ফিফাকে। নতুন অংশগ্রহণকারী দলের ফুটবলারদের থাকা, তাদের অনুশীলনের জন্য বরাদ্দ মাঠ, যাতায়াত ব্যবস্থাসহ অনেক কিছু নিয়েই ফিফাকে নতুন করে ভাবতে হবে। ফেডারেশন তথা স্থানীয় প্রশাসনকে আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক সংস্থার প্রধানকর্তা হাসান আল-থাওয়াডি বলেন, ‘৪৮ দলের বিশ্বকাপ নিয়ে আমরা ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছিলাম। কিন্তু এক্ষেত্রে যোগ্যতা নির্ণয়ক পর্ব শুরুর আগে নিশ্চিত করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা নাহলে পর্যাপ্ত প্রস্তুতির সময় পাওয়া যাবে না।’ এদিকে সম্প্রতি জার্মান পত্রিকা ডের স্পিগেলের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে উয়েফার ফিনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’র (এফএফপি) নিয়ম ভেঙ্গে বাড়তি সুবিধা নিয়েছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন এবং ম্যানচেস্টার সিটি। আর তাদের এই বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন বর্তমান ফিফা প্রধান এবং তৎকালীন উয়েফার মহাসচিব জিয়ান্নি ইনফান্টিনো। এখন সেই তথ্য প্রকাশিত হয়ে যাওয়ায় শাস্তিস্বরূপ জরিমানা কিংবা নিষেধাজ্ঞা হতে পারে পিএসজি ও ম্যানসিটির। এমনকি নেইমার আর কিলিয়ান এমবাপেকে ছেড়েও দিতে হতে পারে পিএসজিকে। এসব তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর ইউরোপের ফুটবলে রীতিমতো ঝড় শুরু হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতারের সরকারের কাছ থেকে অবৈধভাবে ১৮০০ মিলিয়ন ইউরো পেয়েছে পিএসজি যা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ থেকে তাদের নির্বাসনে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। এখন এই তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আইনী সমস্যা নিরসনে ব্রাজিলীয় তারকা নেইমার ও ফরাসী তারকা কিলিয়ান এমবাপেকে বাধ্যতামূলকভাবে ছেড়ে দিতে হতে পারে প্যারিসের ক্লাবটিকে। এর আগে ২০১২ সালে তৎকালীন উয়েফা প্রধান মিশেল প্লাতিনি পিএসজির মালিক নাসের আল-খেলাইফির সঙ্গে এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। তখনকার মহাসচিব ইনফান্টিনোর সহযোগিতায় সেই চুক্তির ফাঁকফোকর খুঁজে বের করে প্রায় ৬০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা থেকে বেঁচে যায় পিএসজি। ২০১৩-১৪ মৌসুমে কাতারের পর্যটন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অবৈধ অর্থ গ্রহণ করে ফরাসী জায়ান্টরা। বাড়তি সুবিধা নেয় ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটিও। এছাড়া ২০১৭ সালে কোন কারণ না দেখিয়েই পিএসজির ওপর চলা দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ করে দেয় উয়েফা। ফাঁস করা তথ্যে দাবি করা হয়েছে, এসব কিছুই রাজনৈতিক কারণে করা হয়েছে। তবে আনীত এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ফিফার বর্তমান সভাপতি। এ বিষয়ে ইনফান্টিনো বলেন, ‘এটা সত্য নয়। সকল ক্লাবকেই সমানভাবে বিবেচনা করা হয়েছে।’
×