
ছবি: সংগৃহীত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-১ আসন (শিবচর) থেকে মনোনয়ন পেতে নির্বাচনী মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি,ত্যাগী,বর্ষীয়ান নেতা আবু জাফর চৌধুরী। উপজেলার ১৮ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় মতবিনিময় সভা, উঠান বৈঠক, গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই নেতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে বিএনপির রাজনীতির মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গণে পথচলা শুরু হয় আবু জাফর চৌধুরীর। তার বড় ভাই মরহুম আবুল খায়ের চৌধুরী(রিজু মিয়া) ছিলেন তৎকালীন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। এক পর্যায়ে ছোট ভাই জাফর চৌধুরীর হাত ধরেই বিএনপিতে যোগ দেন তিনি ও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নব্বইয়ের দশকে আবু জাফর চৌধুরী শিবচর উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আওয়ামীলীগের শাসনামলে নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছেন তিনি। হারিয়েছেন জায়গা-জমিও। ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে নানা ভাবে কোণঠাসা হলেও বিএনপির রাজনীতিতে অবিচল ছিলেন তিনি। আপোশ করেননি কারও সাথে। বর্তমানে তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলেন,'আবু জাফর চৌধুরীই শিবচর উপজেলা বিএনপিকে দ্বার করিয়েছিলেন। তিনি যখন সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন, তখন উপজেলার সকল ইউনিয়নের কমিটি ছিল দলের জন্য নিবেদিত এবং ত্যাগী নেতাকর্মী দ্বারা গঠিত। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। আওয়ামীলীগের সাথে কখনোই আপোশ করেননি। আওয়ামীলীগের স্থানীয় সাংসদের রোষানলে পড়ে হারিয়েছেন নিজের জায়গা-জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসা-বাণিজ্যেও।'
স্থানীয়রা আরও বলেন,'আবু জাফর চৌধুরীর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তার বিরুদ্ধে কোন রকম অভিযোগ দেখি নি। বিগত আওয়ামীলীগের সময়ে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে আওয়ামীলীগের সাথে তালমিল করে চলতে দেখলে জাফর চৌধুরী ছিলেন নিজের নীতিতে অটল। আপোষহীন একজন নেতা। এই সৎ ও ত্যাগী নেতাকে মনোনয়ন দিলে শিবচরে বড় ধরণের পরিবর্তন আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
জানতে চাইলে আবু জাফর চৌধুরী বলেন,'এখন রাজনীতির ধারা পরিবর্তন হয়েছে। আগের মতো নেই। তবে যারা প্রকৃত অর্থে বিএনপিকে ভালোবাসে আমি তাদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। দলের স্বার্থে সবসময় পাশে রয়েছি। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দলের নেতাকর্মীরা মামলা,গুমের শিকার হয়েছে যারা দলকে ভালোবেসেছে কিন্তু দল ছেড়ে কখনও যায়নি আমার কাছে তাদের মূল্যায়ন আগে।আমি বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবো।’
সাব্বির