ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাতের গাভী দিনে হয়ে যাচ্ছে ষাঁড়, কীভাবে সম্ভব? 

প্রকাশিত: ১৪:৫২, ২৯ মার্চ ২০২৪

রাতের গাভী দিনে হয়ে যাচ্ছে ষাঁড়, কীভাবে সম্ভব? 

কম দামে গাভি কিনে তা বেশি দামে ষাঁড়ের মাংস হিসেবে ভোক্তাকে ধরিয়ে দিচ্ছেন কসাইরা

রাতের বেলা কেনা গাভী দিনের বেলা হয়ে যাচ্ছে দেশি ষাঁড়! কম দামে গাভি কিনে তা বেশি দামে ষাঁড়ের মাংস হিসেবে ভোক্তাকে ধরিয়ে দিচ্ছেন কসাইরা। আর এভাবেই চলছে রাজধানীর মাংসের বাজার।  জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বলছে, সুস্পষ্ট অভিযোগ পেলে নেয়া হবে ব্যবস্থা।

রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে কোরবানির ঈদ ছাড়া সাধারণ সময়ে যেসব গরু বিক্রি হয় তার বেশিরভাগ ক্রেতাই কসাই। অর্থাৎ, এই হাট থেকে গরু কিনে জবাই করে বিক্রি করেন রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে।

গাবতলীর পশুর হাটে প্রতি রাতে যেসব কসাই আসেন তারা মূলত কী ধরনের পশু কেনেন, এর মধ্যে সবই কি ষাঁড়, নাকি গাভিও আছে, মহিষের সংখ্যাই বা কেমন? গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, রাজধানীর বিভিন্ন মাংসের দোকানে প্রতিদিন ষাঁড় গরুর মাংস হিসেবে যা বিক্রি করা হয় তার বেশিরভাগই গাভির মাংস!

এই তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে গাবতলীর পশুর হাটে কয়েকজন গরুর দালাল এবং ব্যাপারীর মাধ্যমে জানা যায়, কসাইরা সাধারণত দুইটি ষাঁড় গরু কিনলে গাভি কেনেন চারটি। যে ষাঁড়ের দাম দুই লাখ টাকা, ঠিক একই ওজনের গাভি পাওয়া যায় ৫০ হাজার টাকা কমে।

ব্যাপারীরা জানান, সব কসাই ষাঁড়ের সঙ্গে গাভি কেনে। ২০টার মধ্যে ষাঁড় জবাই করে ৬টা, বাকি সব গাভি! এরপর তারা ষাঁড়ের মাংসের সাথে মিশিয়ে বিক্রি করে। যা সারা দেশেই হচ্ছে বলে জানা গেছে।

তাদের তথ্য অনুযায়ী, চামড়া ছাড়ানোর পর বুঝার উপায় থাকে না কোনটা ষাঁড় আর কোনটা গাভি। তখন সব ষাঁড় হয়ে যায়। কিন্তু কোন দোকানে যদি কেউ গাভির মাংস কিনতে চায়, বলবে যে তারা গাভির মাংস বিক্রি করে না। সব ষাঁড় গরু। কিন্তু যদি দেড়শ গরু থাকে তাহলে ষাঁড় আছে ৫০টা, ১০০ আছে গাভি।

এক ব্যাপারী জানান, ‘পাঁচটা যদি গাই গরু কাটে তাইলে একটা ষাঁড় গরু কাটবো। একটা ষাঁড় গরুর রান ঝুলাইয়া রাখবো সারাদিন। এডিতে লাভ হয় বেশি।’

শুধু গাবতলী হাট নয়, দেশের সব হাট থেকেই কসাইরা এমন গাভি কিনে তা ষাঁড়ের মাংস হিসেবে বিক্রি করে থাকেন বলে জানা গেছে। 

 এবি

×