স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ অবশেষে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে শুরু করেছেন রাজশাহীর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগেই ইতোমধ্যেই অনেকেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীর পক্ষে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
ইতোমধ্যে নগরীতে বৈঠক করে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা ও কাটাখালির বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনের সমন্বয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করার অঙ্গীকার করেন।
এদিকে বিদ্রোহী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা। একইভাবে যেসব পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন তাদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে রাখতে সমন্বয় করছেন নেতারা।
জানা গেছে, রাজশাহীর ১৩ পৌরসভার মধ্যে নওহাটা, কাটাখালি, আড়ানী, পুঠিয়া, মুন্ডুমালা, দুর্গাপুর ও চারঘাটে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইয়ে অনেকের প্রার্থিতা বাতিল হলেও বাকিদের স্থানীয় ও জেলার নেতারা সমন্বয় করেন তাদের নির্বাচন থেকে সরাতে।
পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে পবা উপজেলার নওহাটা ও কাটাখালি পৌরসভার আওয়ামী লীগ নেতারা সোমবার নগরীর একটি চেম্বারে বৈঠকে বসেন। মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের পক্ষে একক প্রার্থীর সমর্থনে বিদ্রোহীদের প্রত্যাহারের বিষয়ে সমঝোতা করা হয়। এরপর বিদ্রোহী প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন।
বৈঠকে কাটাখালি পৌরসভার দলীয় মনোনীত মেয়র প্রার্থী আব্বাস আলীসহ তিন বিদ্রোহী প্রার্থী মোতাহার হোসেন, আবু সামা ও মুঞ্জুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহার হোসেন, আবু সামা ও মুঞ্জুর রহমান বলেন, নিজেদের ইচ্ছায় দলের মনোনীত প্রার্থীর নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন তারা। নওহাটা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাফিজুর রহমান ও আফজাল হোসেন বাবলুর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। আপীলের সুযোগ থাকলেও দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন জানিয়ে তারা সে সুযোগ গ্রহণ করেননি। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, রাজশাহীর কোন পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না। ইতোমধ্যেই অনেকেই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। যেসব পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন সময়মতো সবাই সরে দাঁড়িয়ে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করবেন বলে জানান তিনি।