
ছবি:সংগৃহীত
থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত প্রায় পৌনে ৩টার দিকে তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন রাগিব জামাদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আবদুল হামিদ কোনো ধরনের প্রটোকল চাননি এবং সাধারণ যাত্রীর মতোই দেশে ফিরেছেন। ফ্লাইট থেকে হুইলচেয়ারে করে তাকে নামিয়ে আনা হয়। ওই সময় তার পরনে ছিল সাধারণ শার্ট ও লুঙ্গি, মুখে ছিল মাস্ক। তাকে ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল। তার সঙ্গে ছিলেন ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ।
এই প্রত্যাবর্তন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে আলোচনা। তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনেকে বলছেন, দেশের মাটিতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চান আবদুল হামিদ—এই বিশ্বাস থেকেই তিনি ফিরে এসেছেন। যদিও এ বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ৮ মে রাত ৩টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন তিনি। খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর তা দেশের রাজনীতিতে বেশ চর্চার জন্ম দেয়।
উল্লেখযোগ্য যে, ২০২৩ সালে ক্ষমতা হারানোর পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী দেশ ছেড়ে গেলেও, আবদুল হামিদ দীর্ঘ সময় দেশেই অবস্থান করেন। পরে প্রায় নয় মাস পর চিকিৎসার প্রয়োজনেই ব্যাংকক যান তিনি।
এদিকে, তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলার তথ্য প্রকাশ্যে আসায় তার দেশে ফেরা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন টানা দুই মেয়াদে।
সবকিছু মিলিয়ে আবদুল হামিদের দেশে ফেরা শুধু চিকিৎসাজনিত নাকি এর পেছনে অন্য কোনো বার্তা রয়েছে, সে প্রশ্ন এখন রাজনীতির অঙ্গনে ঘুরপাক খাচ্ছে।
সূত্র:https://youtu.be/B0vHDQjM5p4?si=EWRYQ4CkwlOIGJZw
ছামিয়া