ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

বিদেশে হর্ণ বাজালে একটা গালি মনে করা হয়

প্রকাশিত: ০০:১৫, ২২ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ০০:২৭, ২২ জানুয়ারি ২০২৫

বিদেশে হর্ণ বাজালে একটা গালি মনে করা হয়

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের বাস-ট্রাক ড্রাইভারদের ৬৮ ভাগ ড্রাইভার কানে শোনে না। বিদেশে হর্ণ বাজালে একটা গালি মনে করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আমরা চলো যার যার বাসায় যেয়ে এখন থেকে বলি ড্রাইভারকে, যে আপনি আর হর্ন বাজাবেন না। ঢাকা শহরের মত এমন আওয়াজের শহর পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। শব্দদূষণেও আমরা এক নাম্বার, বায়ুদূষণেও আমরা এক নাম্বার, প্লাস্টিক দূষণে আমরা বিশ্বের নয় নাম্বার।

তো এগুলো তো আর পাঁচ মাসে, ছয় মাসে এক ফুঁ দিয়ে ঠিক করা যাবে না। কিন্তু কাজটা শুরু করতে হবে। তুমি যখন তোমার ড্রাইভারকে এটা বলবে, ড্রাইভার তখন বলবে কি? আপনি ঢাকা শহরে হর্ণ না দিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না। কেন? কারণ, সামনে রিক্সা আইসা পড়ে। তো বলবেন যে, এয়ারপোর্ট রোডে তো রিক্সা আসে না, ওখানে তাইলে হর্ণ দেন কেন। এটা একটা অভ্যাসের ব্যাপার।

আবার যখন অনেক সময় গাড়ি নিয়ে বেরোয় রাস্তায় দেখলাম, হর্ণটা নষ্ট হয়ে গেছে, মাঝে মাঝে কিন্তু এরকম হয়। কারণ ব্যাটারি ডাউন থাকে, চলে না। তখন কিন্তু চালক ঠিকই গাড়ি চালিয়ে তোমাকে গন্তব্যে নিয়ে যায়। এটা হচ্ছে, এত ৫৩ বছর কেন! তারও আগে থেকে গাড়ি আছে, তবে থেকে হর্ণ বাজিয়ে গাড়ি চালায় আমরা।

তিনি আরো বলেন, বিদেশে হর্ণ বাজালে একটা গালি মনে করা হয়। আমাদের এখানে কিছু বাস্তবতা আছে, কিন্তু গাড়ির গতি কম রেখে আমি কিন্তু আসলেই আমার গন্তব্যে পৌঁছাই ,আমার মিটিং-এ ও ঠিক টাইমে পৌঁছি, কোন অসুবিধা হয় না।

আমরা নিজেদের ড্রাইভারকে বলবো এবং আগামী মাস থেকে আমরা হর্ণের ক্যাম্পেইনটা শুরু করব, সেখানেও আমরা তোমাদেরকে পাশে চাই। শুক্র-শনিবার করে আমরা ক্যাম্পেইন করবো এবং আমরা তোমাদেরকে পাশে চাই, কারণ তোমরা এখনো কানে শোনো বাবা।

মো. মহিউদ্দিন

আরো পড়ুন  

×