ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও সরবরাহ ঠিক থাকবে

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র পানি সঙ্কট

প্রকাশিত: ১০:৪৯, ২৩ মার্চ ২০২০

 রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র পানি সঙ্কট

ফিরোজ মান্না ॥ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানির তীব্র সঙ্কট চলছে। মিরপুর, ইব্রাহিমপুর, কাফরুল, পূর্ব শেওড়াপাড়া, শেওড়াপাড়া, মগবাজার পেয়ারাবাগ, নয়া টোলা, মধুবাগসহ নগরীর শতাধিক স্থানে গত এক সপ্তাহ ধরে পানি মিলছে না। রাতের বেলায় অল্প কিছু ছাড়া হয়। দিনের বেলায় কোন বাড়িতে পানি সরবরাহ দেয়া হচ্ছে না। পানির অভাবে দৈনন্দিন কাজও প্রায় বন্ধ। ওয়াসার পানি কিনতে গেলে প্রতি গাড়িতে ৫শ’ টাকার বেশি বাড়তি দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের। ওয়াসা বলছে, পুরাতন সরবরাহ পাইপ থেকে নতুন পাইপে পানি সরবরাহ দেয়ার কাজ চলছে বলে বিভিন্ন এলাকায় পানি সঙ্কট তৈরি হয়েছে। আগামী ২০ থেকে ২৫ দিন এই সমস্যা হবে। নগরীতে পানি সঙ্কট নিয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, নগরীর বেশ কিছু এলাকায় পানির সমস্যার কথা ওয়াসার এমডি আমাকে জানিয়েছেন। এমডি বলেছেন, অনেক এলাকায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। ওইসব এলাকায় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে কাজ করা হচ্ছে। তবে ঠিক কবে নাগাদ পানি সমস্যা দূর হবে তা বলা মুশকিল বলে তিনি জানিয়েছেন। মন্ত্রী এই প্রতিবেদকের সামনেই ওয়াসার এমডির সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। মন্ত্রী তাজুল ইসলাম পানি সঙ্কট দূর করার জন্য এমডিকে কঠোর নির্দেশ দেন। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জনকণ্ঠকে বলেন, করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও পানি সরবরাহ ঠিক রাখা হবে। দেশের সবকিছু বন্ধ হলেও পানি সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য ওয়াসাকে আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছে। পানি সেবা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে কয়েকটি বৈঠক করা হয়েছে। আশা করি করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি হলেও নগরবাসী পানি সঙ্কটে পড়বে না। পানি সরবরাহ নিশ্চিত থাকবে। পানি নিয়ে কোন প্যানিক হবে না। পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে সব প্রতিষ্ঠান রয়েছে- কোন প্রতিষ্ঠানেই সঙ্কট হবে না। আমরা এ দিক থেকে সজাগ রয়েছি। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সবাইকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে- তিনি এসএমএস দিয়ে জানিয়েছেন মিটিংয়ে আছেন। এদিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধজনিত সঙ্কট চলছে। এসব এলাকার গ্রাহকেরা বাড়ির পানির বিল পরিশোধ করার পরও ওয়াসার পাম্পস্টেশন থেকে পানি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতি গাড়ি পানিতে ৫শ’ থেকে ৬ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে। ঢাকা জোন-৬’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব জনকণ্ঠকে জানান, মগবাজার এলাকায় পানির কিছুটা সমস্যা ছিল। গত কয়েকদিন পানি সরবরাহ কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে বর্তমানে মগবাজারে পানির কোন সমস্যা নেই। প্রতিটি বাড়িতে পানি সরবরাহ ঠিক রয়েছে। কোন কোন সময় নানা কারণে সমস্যা তৈরি হতে পারে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা চিহিৃত করে দ্রæত সমাধানের চেষ্টা করি। মগবাজারের সমস্যা বর্তমানে অনেকাংশে দূর হয়েছে। কিছু বাড়িতে সমস্যা হতে পারে। এর কারণ হচ্ছে পুরাতন পাইপ থেকে আমরা নতুন পাইপে পানি সরবরাহ দিচ্ছি। এ জন্য সাময়িক সময়ের জন্য সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যাগুলো বড় কোন সমস্যা না। এগুলো দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হয়। যদি কোথাও পাইপ ফেটে যায় তাহলে মেরামত করতে একটু সময় লাগে। তাও সেই সময়ও খুব বেশি না।
×