ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

একুশে গ্রন্থমেলা শেষ

বইয়ের প্রকাশনা থেকে অঙ্গসজ্জায় বঙ্গবন্ধু

প্রকাশিত: ১১:০৯, ১ মার্চ ২০২০

বইয়ের প্রকাশনা থেকে অঙ্গসজ্জায় বঙ্গবন্ধু

মনোয়ার হোসেন ॥ মনন বিকাশের অনন্য এক অয়োজন অমর একুশে গ্রন্থমেলা। ভাষা শহীদদের স্মৃতিতে নিবেদিত একুশে চেতনা আশ্রিত মেলাটির সূচনা হয়েছিল দোসরা ফেব্রুয়ারি। শনিবার শেষ হলো জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গকৃত মাসব্যাপী এই মেলা। মেলার আয়োজক বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগের তথ্যানুযায়ী, এদিন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে রেকর্ডসংখ্যক ৪ হাজার ৯১৯টি নতুন বই। একইভাবেই একাডেমির দেয়া তথ্যানুযায়ী, এবছর পূর্বের রেকর্ড ৮০ কোটি ছাপিয়ে এবার বিক্রি হয়েছে ৮২ কোটি টাকার বই। এর মধ্যে বাংলা একাডেমির বিক্রি বইয়ের পরিমাণ ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। তবে এই বহুল বিক্রীত বিপুলসংখ্যক বইয়ের মধ্যে মানহীন বইয়ের সংখ্যাই ছিল বেশি। বিষয়বস্তু থেকে লেখনী কিংবা সম্পাদনাÑএমন দুর্বলতায় আক্রান্ত গ্রন্থের আধিক্য অনেক সময় পাঠকের চোখ এড়িয়ে গেছে মানসম্মত বইটি। বাংলা একাডেমির বিচারে এবার মানসম্মত বইয়ের সংখ্যা ৭৫১টি। মুজিববর্ষের প্রাক উদ্্যাপনে অনুষ্ঠিত এবারের মেলার বিন্যাসটি ছিল দারুণ নজরকাড়া। অঙ্গসজ্জা থেকে বইয়ের প্রকাশনায় মিশেছিলেন বঙ্গবন্ধু। জাতির পিতার নিজের লেখা বইসহ তাকে নিয়ে রচিত অজ¯্র বই প্রকাশ করেছে বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা। শুধুমাত্র বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুবিষয়ক ২৬টি নতুন বই। আর এ বছরের মেলার সবচেয়ে আলোচিত বই ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘আমার দেখা নয়াচীন’। একাডেমি প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু রচিত তৃতীয় বইটির প্রতি পাঠকের ছিল বিশেষ ঝোঁক। তাই স্মৃতিচারণমূল ভ্রমণকাহিনীটি ছিল মেলার সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন বই। প্রথম মুদ্রণের ২০ হাজার কপি শেষ হয় মেলার দশম দিনেই। এরপর আসা দ্বিতীয় মুদ্রণের ১০ হাজার কপিও প্রায় ফুরোনোর পথে ছিল মেলার সমাপনী দিন পর্যন্ত। এবারই ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়েছে একুশের বইমেলা। মেলার দুই ক্যানভাস বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মিলিয়ে এই ভূমির পরিমাণ ছিল ৮ লাখ বর্গফুট। এর মধ্যে কেবলমাত্র উদ্যান অংশেই ৭ লাখ বর্গফুট জমিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বইমেলা। বাকি এক লাখ বর্গফুটের মেলা হয়েছে বাংলা একাডেমি। শিকড়, সংগ্রাম, মুক্তি ও অর্জন এই চার ভাগে করা মেলাকে। মেলার বিভিন্ন অংশে চমৎকারভাবে উপস্থাপিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু। ছবিসহ বাংলার অবিসংবাদিত নেতার বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের বক্তব্যকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সুন্দরভাবে। এছাড়া বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন ও স্টল সজ্জাতেও মিশেছিলেন জাতির জনক। উদ্যানে বঙ্গবন্ধু পাঠ নামের চত্বরে শেখ মুজিবের লেখা তিনটি বই-ই পড়ার সুযোগ ছিল পাঠকদের জন্য। যাদের সংগ্রহে নেই তাদের অনেকেই বেঞ্চে বসে টেবিলে রাখা বইগুলো পড়েছেন গভীর মনোযোগে। এবার মেলায় সব মিলিয়ে অংশ নিয়েছে ৫৬০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছিল ৪৩৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। বাংলা একাডেমি আঙ্গিনায় ছিল ১২৬টি প্রতিষ্ঠান। এ বছর মেলায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে ৪০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। তবে বরাবরের মেলার মূল আকর্ষণ ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সৃজনশীল বইয়ের প্রকাশনা সংস্থাসহ, শিশুতোষ গ্রন্থের রাজ্য শিশু চত্বর এবং লিটল ম্যাগ কর্নার ছিল এখানেই। কোন মেলাতেই প্রকাশকরা তাদের বিক্রির পরিমাণ জানাতে চান না। এবারও তেমনটা ঘটেছে। তবে এবার একটি জায়গায় মিলে গেছে অধিকাংশ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের দেয়া তথ্য। বেশিরভাগ প্রকাশকই বলেছেন, দশনার্থী অনেক বেশি এলেও গত বছরের তুলনায় এবার বই বিক্রি কম হয়েছে। পাশাপাশি ভুঁইফোড় বা মৌসুমি প্রকাশকদের বিষয়ে বিস্তর অভিযোগ ছিল পেশাদার প্রকাশকদের। শুরু থেকেই মৌসুমি প্রকাশরা মেলার নীতিমালা লঙ্ঘন করে বিদেশী লেখকদের বই বিক্রি করেছে। শুধু তাই নয়, পাইরেটেড বইয়ের পাশাপাশি অন্য প্রকাশনা সংস্থার বইও বিক্রি করেছেন এসব প্রকাশনা সংস্থা। ফলে চেতনার সঙ্গে মূল সৌন্দর্যটি হারিয়ে কিছুটা বই বিক্রেতাদের পরিণত হয়েছে মেলা। তবে এ ব্যাপারে শুরু থেকেই নির্বিকার ছিল বাংলা একাডেমি। গ্রন্থমেলার পঁচিশতম দিন পর্যন্ত কোন টাস্কফোর্সের অভিযান চালানো হয়নি। ছাব্বিশতম দিনে এসে ঘুম ভাঙ্গে তাদের। এদিন নীতিমালা লঙ্ঘন করে বিদেশী লেখকের বই বিক্রির কারণে ২২টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়া হয় এবং অগ্রপ্রকাশ নামের একটি প্রকাশনা সংস্থার স্টল বন্ধ করে দেয়া হয়। মৌসুমি প্রকাশকদের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনাÑএ বিষয়ে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, একটি প্রতিষ্ঠানের স্টল বন্ধ এবং ২২টি প্রতিষ্ঠানকে আমরা কারণ দর্শাও চিঠি দিয়েছি। গ্রন্থমেলা নীতিমালা বাস্তবায়ন কমিটি এসব চিঠির জবাব খতিয়ে দেখে সন্তুষ্ট না হলে ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে কথাশিল্পী সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, এবারের মেলার মানহীন প্রকাশনা সংস্থার আধিক্য রয়েছে। এ ধরনের প্রকাশনা সংস্থাকে মেলা থেকে বাদ দিতে হবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় স্টল বরাদ্দ না দেয়ার বিষয়ে বাংলা একাডেমিকে কঠোর হতে হবে। মেলা যদি শুধু ভাল প্রকাশকদের নিয়ে হয়, তাহলে মেলার পরিবেশ এবং বইয়ের বিক্রি দুটোই ভাল হবে। প্রকাশক নয় এমন বিক্রেতারা যদি নেট ও পাইরেটেড বই এবং অননুমোদিত বিদেশী লেখকদের বই নিয়ে মেলায় আসে সেক্ষেত্রে প্রকৃত প্রকাশকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি পাঠকরাও প্রতারিত হয়। বিশাল পরিসরের মেলা করার চাইতে গোছানো ও নিয়মতান্ত্রিক মেলা করাটাই বাঞ্ছনীয়। জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি এবং সময় প্রকাশনের প্রকাশক ফরিদ আহমেদ বলেন, আয়তন, নক্সা কিংবা সাজসজ্জার বিবেচনায় এবারের মেলাটি ছিল নান্দনিক। তবে এর মাঝে কিছু ত্রুটিও ছিল। মেলার আয়তন বাড়ানো হলেও প্রবেশ ও বাহির পথ কম ছিল। অন্যদিকে মেলায় খাবারের দোকানের আধিক্য খুব দৃষ্টিকটু লেগেছে। এত বড় মেলায় খাবারের দোকান থাকবেÑএটাই স্বাভাবিক। তাই বলে টিএসএসসিসংলগ্ন মেলায় প্রবেশপথের সামনে এবং কালী মন্দিরসংলগ্ন দুটি পৃথক অঞ্চলের ফুড কোর্টে ৪০টির বেশি খাবারের দোকান অতিরিক্ত মনে হয়েছে। বিশেষ করে টিএসসির প্রবেশপথ দিয়ে মেলায় ঢুকলে গ্রন্থমেলাকে ছাপিয়ে খাবারের মেলাই নজর কেড়েছে। এছাড়া মেলার স্টল বা প্যাভিলিয়নের সুষম বণ্টন হয়নি। পাশাপাশি মৌসুমি প্রকাশকদের বিদেশী লেখকসহ পাইরেটেডের বইয়ের বিষয়ে শুরু থেকে কথা উঠলেও বাংলা একাডেমি ছিল নির্বিকার। শেষ সময়ে একটি লোকদেখানো অভিযান পরিচালনা করেছে। মূলত এই অভিযানের মাধ্যমে ভুঁইফোঁড় প্রকাশকরা যেন আগামী মেলায় আরেকটু পরিণত হয়ে আসেÑসে বিষয়ে সতর্ক করা হলো। ফলে যেটা হবার সেটা আগেই হয়ে গেছে। অনেক অসচেতন পাঠক সেসব মানহীন বই কিনেছে। অজ¯্র প্রকাশনা এবং মানহীন বই প্রসঙ্গে এই প্রকাশক বলেন, অনেক প্রকাশনীই একাডেমির নতুন বইয়ের তালিকায় রিপ্রিন্ট বইয়ের তথ্য দিয়ে দেয়। পাশাপাশি আমরা জানি মানসম্মত গ্রন্থ প্রকাশের কোন প্রকাশনীর কতটা সামর্থ্য আছে। একইভাবে লেখকেদেরও সীমাবদ্ধতা আছে। তাই ঝাঁকে ঝাঁকে বই লিখে কিংবা প্রকাশ না করে সংখ্যায় স্বল্প হলেও মানসম্মত বই প্রকাশে মনোযোগ দেয়া উচিত। এই প্রকাশক জানান, গত বছরের তুলনায় তার প্রকাশনা সংস্থা থেকে ২০ শতাংশ বিক্রি কম হয়েছে। অন্বেষা প্রকাশনীর প্রকাশক শাহাদাত হোসেন জানান, এবার তার প্রকাশনা সংস্থার বিক্রির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক কম হয়েছে। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাঠক না বাড়লেও বেড়েছে প্রকাশক। এমন প্রকাশকদের অনেকেই ভেবেছিল মেলায় এলেই ভাল বই বিক্রি হবে। এ কারণেই এবার মেলায় পাইরেটেড বই খুব চলেছে। সম্পাদনাহীন মানহীন বইয়ের ছড়াছড়ি দেখা গেছে। দেদারছে বিক্রি হয়েছে বিদেশী লেখকদে বই। এমন অবস্থায় আবার আত্মোন্নয়নমূলক বইয়ের হিড়িকে সাহিত্যের বই চলে গেছে পাঠকের দৃষ্টিসীমার বাইরে। এতে একইসঙ্গে মৌলিক লেখকদের সঙ্গে ক্ষতি হয়েছে মূলধারার সাহিত্যের। অন্যদিকে মেলার পরিসর এতটাই বিস্তৃত হয়েছে যে, অসচেতন পাঠক ভাল বই আছে এমন স্টলে পৌঁছার আগেই নিজের অজান্তেই সংগ্রহ করেছেন মানহীন বইটি। আকৃতি বড় হওয়ায় অনেকে আবার নির্দিষ্ট স্টল খুঁজে পেতে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। তাই মেলাটা অনেক বিস্তৃত হলেও স্টলের বিন্যাস ক্রেতাবান্ধব হয়নি। পাঠকসমাদৃত বইয়ের কথা গ্রন্থমেলার মূল আকর্ষণ হচ্ছে লেখক এবং তার বই। আর আগেই বলা হয়েছে এবারের মেলার সবচেয়ে আলোচিত লেখক হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাঠকসমাদৃত এবং বহুল বিক্রীত বইটি তার রচিত ‘আমার দেখা নয়াচীন’। এবারের মেলায় একইসঙ্গে সর্বোচ্চ পাঠকসমাদৃত এবং বহুল বিক্রিত বইটির শিরোনাম ‘আমার দেখা নয়াচীন’। শেখ মুজিবুর রহমান রচিত বাংলা একাডেমি প্রকাশিত গ্রন্থটি রয়েছে পাঠক চাহিদার শীর্ষে। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুর লেখা তৃতীয় বইটির প্রথম মুদ্রণের ২০ হাজার কপি চলে গেছে বইপ্রেমীদের বাড়িতে। বর্তমানে দ্বিতীয় মুদ্রণের ১০ হাজার কপিও রয়েছে শেষের পথে। এছাড়াও একাডেমি প্রকাশিত এম আবদুল আলীম রচিত ‘বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন’ গ্রন্থ্িটর প্রথম মুদ্রণ ফুরিয়ে বেরিয়েছে দ্বিতীয় মুদ্রণ। বরাবরের মতো এবারের মেলাতেও পাঠক টেনেছেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তা¤্রলিপি থেকে এসেছে এই লেখকের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ‘প্রজেক্ট আকাশলীন’। দীর্ঘ ৩৪ বছরের বিরতি ভেঙ্গে এসেছে কবি হেলাল হাফিজের দ্বিতীয় মৌলিক কাব্যগ্রন্থ ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’। দিব্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত বইটি হয়েছে পাঠকসমাদৃত। প্রথমা থেকে প্রকাশিত আনিসুল হকের রাজনৈতিক উপন্যাস ‘এখানে থেমো না’ চলছে বেশ। পাঞ্জেরী থেকে আসা ধ্রুব এষের উপন্যাস ‘পরেশের বউ’ নজর কেড়েছে পাঠকের। বাতিঘর থেকে প্রকাশিত মহিউদ্দিন আহমদের লেখা রাজনীতিবিষয়ক বই ‘বেলা-বেলা : বাংলাদেশ ১৯৭২-১৯৭৫’ চলছে ভাল। একই প্রকাশনী থেকে এই লেখকের ‘৩২ নম্বর পাশের বাড়ি’ শীর্ষক স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থটিরও চলেছে ভাল। প্রকাশনা সংস্থা বায়ান্ন থেকে প্রকাশিত মারজুক রাসেলের ‘দেহবণ্টনবিষয়ক দ্বিপক্ষী চুক্তিনামা স্বাক্ষর’ নামের কাব্যগ্রন্থটি পেয়েছে ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা। কথাপ্রকাশ থেকে আসা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘ভালমানুষের জগৎ’ শীর্ষক গল্পগ্রন্থ চলছে ভাল। একই প্রকাশনী থেকে এসেছে সুমন্ত আসলামের ‘প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন চা খেতে আসেন’ উপন্যাসটি হয়েছে পাঠকপ্রিয়। জার্নিম্যান বুকস থেকে বেরুনো আসা ইসলাম রচিত ‘নভেরা : বিভুঁইয়ে স্বভূমে’ চলছে ভাল। অনন্যা থেকে আসা ইমদাদুল হক মিলনের শিশুতোষ গ্রন্থ ‘বাবান ও টুনটুনি পাখি’র চতুর্থ সংস্করণ বেরিয়েছে। অন্যপ্রকাশ থেকে আসা সাদাত হোসাইনের ‘মেঘেদের দিন’ ও ‘মরণোত্তম’ নামের উপন্যাস দুটির একাধিক সংস্করণ বেরিয়েছে। প্রথমা থেকে প্রকাশিত আসিফ নজরুলের ‘মানবাধিকার’ নামের বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ বেরিয়েছে। পার্ল পাবলিকেশন্স থেকে আসা মুহম্মদ জাফর ইকবালের শিশুতোষ গ্রন্থ ‘যেরকম টুনটুনি সেরকম ছোটাচ্চু’ টেনেছে পাঠক। অনুপম থেকে আসা আহসান হাবীবের ‘সেরা ভূত’ গল্পগ্রন্থের কাটতিক ছিল ভাল। বেঙ্গল পাবলিকেশন্সের ‘সমাজ রাষ্ট্র বিবর্তন : জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক’ গ্রন্থটির দ্বিতীয় সংস্করণ বেরিয়েছে। কাকলী থেকে প্রকাশিত মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘ব্ল্যাককোল রহস্য’ নামের বিজ্ঞানবিষয়ক বইয়ের পঞ্চম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। অনিন্দ্য থেকে আসা মোশতাক আহমেদের ‘প্যারাসাইকোলজি জোছনার ছায়া’ গ্রন্থের কয়েকটি সংস্করণ বেরিয়েছে। ইউপিএল থেকে আসা আফসান চৌধুরী সম্পাদিত গবেষণাগ্রন্থ ‘হিন্দু জনগোষ্ঠীর একাত্তর’ চলছে ভাল। দেশ পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত তরুণ লেখক জয়দীপ দের ‘কাসিদ’ নামের উপন্যাসের দ্বিতীয় সংস্করণ এসেছে। এছাড়া শোভাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত সন্্জীদা খাতুনের ‘রবীন্দ্রকবিতার গহনে’ নজর কেড়েছে মননশীল পাঠকের ।
×