ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

নানা আয়োজনে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত

প্রকাশিত: ১১:০৪, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

নানা আয়োজনে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নানা আয়োজনে বুধবার জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন করা হয় রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের শওকত ওসমান মিলনায়তনে। মুজিববর্ষের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ বছরে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘পড়ব বই গড়ব দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। জাতীয় পর্যায়ে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও শাহবাগ গণগ্রন্থাগার অধিদফতর চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিবসটির শুভ সূচনা হয় সকালে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বেলুন উড়িয়ে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের দিনব্যাপী কর্মসূচী ও শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। শোভাযাত্রাটি গণগ্রন্থাগার অধিদফতর প্রাঙ্গণ হতে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বর, কলাভবন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী হয়ে চারুকলা অনুষদের সামনের দিক দিয়ে গণগ্রন্থাগার অধিদফতর প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এর পর গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের শওকত ওসমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন শিক্ষাবিদ সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল মান্নান ইলিয়াস। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অধিকাংশ সময় বই পড়তেন। বইয়ের প্রতি তার বেশ আগ্রহ ও ঝোঁক ছিল। এখন ছাত্রছাত্রীরা বইয়ের দিকে না ঝুঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। ছাত্রছাত্রীদের বই পড়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যতই সোশ্যাল মিডিয়া বিকশিত হোক না কেন, বই থাকবে, গ্রন্থাগার থাকবে। বইয়ের আবেদন কখনও ফুরোবে না। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, কোমলমতি শিশুদের পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি ও বইমুখী করতে হবে। এ লক্ষ্যে মুজিববর্ষে দেশব্যাপী রোড মার্চ ও রোড শোর আয়োজন করা হবে। রোড মার্চে নেতৃত্ব দেবেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাইদ। তাছাড়া মুজিববর্ষে সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারের সংখ্যা আট শ’ হতে এক হাজারে উন্নীত করা হবে। অধিকন্তু মুজিববর্ষকে সামনে রেখে সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে এক হাজার গণগ্রন্থাগারে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার স্থাপন’ শীর্ষক একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। ‘গণ্ডি’র প্রচারে ঢাকায় সব্যসাচী ফখরুল আরেফীন খানের ‘গণ্ডি’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রে জুটি হয়েছেন দুই বাংলার নন্দিত এই দুই তারকা। এরই মধ্যে সেন্সর বোর্ড থেকে আনকাট ছাড়পত্র পেয়েছে ছবিটি। আগামীকাল শুক্রবার সারাদেশে মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি। ছবিটির শূটিং করতে বাংলাদেশে এসেছিলেন সব্যসাচী। এমন কী এই ছবির শূটিং করতে এসে তার এবারের জন্মদিনটা কেটেছে এই দেশেই। তিনি আবারও এসেছেন এই সিনেমার প্রচারে। মঙ্গলবার ঢাকায় এসেছেন অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। রাজধানীর বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্সে বুধবার সন্ধ্যায় ‘গন্ডি’ সিনেমার প্রিমিয়ারে অংশ নেন তিনি। এতে উপস্থিত ছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা ও গন্ডির অন্যান্য অভিনয়শিল্পীরা। প্রিমিয়ারের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সব্যসাচী বলেন, খুবই ব্যতিক্রমী একটি সিনেমা ‘গন্ডি’। আমি আগেও বাংলাদেশে এসেছি। এখানের মানুষের সঙ্গে আমার একটা আত্মার বন্ধন তৈরি হয়েছে। আমি বলব এই সিনেমাটি দেখার জন্য দর্শকদের উৎসাহিত করা উচিত। তাদের জানানো উচিত এখনও ভাল ভাল বাংলা সিনেমা তৈরি হচ্ছে।
×