স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মেঘনা নদী থেকে ২১ লাখ টাকা মূল্যের ৪১ হাজার ৮শ’ লিটার চোরাই পাম অয়েল উদ্ধার করেছে র্যাব-১১ সদস্যরা। র্যাব সদস্যরা রফিকুল ইসলাম (৪২) নামে পাম অয়েল চোরাইচক্রের মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর ছয়হিস্যা ঘাটে অভিযান চালিয়ে চোরাই পাম অয়েল উদ্ধার করা হয়। অভিযানে চোরাই তেল পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ৩টি ট্রলারও জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে চোরাই তেলসহ রফিকুল ইসলামকে আটকের পর সে র্যাবের অভিযানিক দলকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে ঘটনাটি আপোস মীমাংসা করার চেষ্টা করে। ওই সময় রফিকুল ইসলামের দেয়া ঘুষের ১০ লাখ টাকাও জব্দ করা হয়। শুক্রবার বিকেলে এ বিষয়ে নগরীর বন্দর খেয়াঘাটে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১’র অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল কাজী শামসের উদ্দিন এ তথ্য জানান। এ সময় র্যাব-১১’র উপ-পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মলনে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল কাজী শামসের উদ্দিন জানান, সে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার ছয়হিস্যা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ও মৃত আবুল কাসেম সরকার ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে, ছয়হিস্যা ঘাটে বেশ কয়েকটি চোরাই পাম অয়েলের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এই ছয়হিস্যা ঘাট এলাকায় চলমান জাহাজ হতে সুকৌশলে দীর্ঘদিন ধরে পাম অয়েলসহ অন্যান্য তেল চুরি করে আসছে। উদ্ধার করা পাম অয়েলগুলো ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার তেল ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করা হতো। এসব পাম অয়েল ভাল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ভেজাল তেল তৈরি করে বাজারে বিক্রি করা হতো। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল ইসলাম স্বীকার করেছে যে সে চোরাই পাম অয়েল তেল ব্যবসার মূল হোতা। গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।