অনলাইন রিপোর্টার ॥ ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নলডাঙ্গা ইউনিয়নে সকালে বানিয়াবহু বাগুটিয়া গ্রামের ভোতন ব্রিজের কাছে একটি পাট ক্ষেত থেকে এক অজ্ঞাত যুবকের গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে তার মরদেহ মর্গে পাঠালে তার মা এসে মরদেহ সনাক্ত করেন।
পরে জানা যায়, যে ব্যক্তি খুন হয়েছেন তার নাম সোহেল রানা। গ্রামের বাড়ি কোটচাঁদপুর উপজেলার সাব্দারপুর ইউনিয়নের লক্ষীকুন্ডু গ্রামের জোয়ারদার পাড়ার বখতিয়ার রহমানের ছেলে। সোহেল রানা কালীগঞ্জের চাপালি গ্রামের মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে মুয়াজ্জিনের দায়িত্বে পালন করছিলেন।
বুধবার সাড়ে ১২টার দিকে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান পিপিএম তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গতকাল বেলা ৯টার দিকে পুলিশ একজনের মরদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। পরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ভিকটিমের পরিচয় উদ্ধার করে।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে যে জুলিয়া খাতুন নামে একজন নারীর সঙ্গে প্রেম ছিল সোহেল রানার। এ বিষয়ে জুলিয়া খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কাছ থেকে জানা যায় জুলিয়া খাতুনের সঙ্গে বেশ কিছু দিন আগে সোহেল রানার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে বিয়ে হয় রাজু আহামেদ নামে অন্য একটি ছেলের সঙ্গে। বিয়ের পরে রাজু জানতে পারেন তার স্ত্রী আগের প্রেমিকের সঙ্গে পরকীয়া করছে। ঘটনাটি স্বামীর কাছে স্বীকারও করেন জুলিয়া। পরে রাজু তার স্ত্রীকে দিয়ে ঘটনার আগের দিন কৌশলে ঘটনাস্থলে সোহেলকে নিয়ে আসে এবং তার দুই সহযোগী নাজমুল ও সুমনের সহযোগিতায় তাকে হত্যা করেন।
তিনি বলেন, এই মরদেহ পাওয়ার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে জুলিয়া খাতুনকে আমারা গ্রেফতার করি এবং আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। রাজুকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের সঙ্গে জড়িত বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।