ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্টারনেট-জিপিএস বন্ধের আশঙ্কা

প্রকাশিত: ১০:৫২, ৬ এপ্রিল ২০১৯

ইন্টারনেট-জিপিএস বন্ধের আশঙ্কা

সাড়ে ১৯ বছর পর শুক্রবার আবার ‘ওয়াইটুকে প্রবলেম’ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। যেটি এর আগে হয়েছিল ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত। গোটা বিশ্বে পারমাণবিক ঘড়ির (এ্যাটমিক ক্লক) সময় শেষ হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। ১৯৮০ সালের ৬ জানুয়ারি চালু হয়েছিল ওই ঘড়ি। সেই ঘড়ির সময় শেষ হয়েছিল ১৯৯৯ সালের ৬ এপ্রিল। তার পর আবার চাবি দেয়া হয়েছিল সেই পারমাণবিক ঘড়িতে। শুক্রবার মধ্য রাতের পর আবার ঘড়িটির সময় শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এক হাজার ২৪ সপ্তাহ বা ১৯ বছর ৭ মাস পর আবার নতুন করে দম দিতে হবে ঘড়িটিকে। ওই ঘড়ির ওপরেই পুরোপুরি নির্ভরশীল পৃথিবীর যাবতীয় সকল প্রাণী ও উদ্ভিদের অবস্থান। যার নাম- ‘গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম’ বা জিপিএস। সেই ঘড়ির সময় ফুরিয়ে গেলে ভূপৃষ্ঠে ঠিক কোন জায়গায় আমরা দাঁড়িয়ে আছি তা নির্ধারণের পদ্ধতিতে (জিপিএস) গন্ডগোল হয়ে যাওয়ারই আশঙ্কা রয়েছে। জিপিএসের ওপর নির্ভরশীল ইন্টারনেট ও নির্ভরশীল নেট-ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা। এছাড়া নির্ভরশীল পৃথিবীর বিভিন্ন কক্ষপথে থাকা অন্তত ৫ হাজার কৃত্রিম উপগ্রহ। নির্ভর করে রয়েছে সমুদ্র ও আকাশে নেভিগেশনের অনেকটাই। তাই প্রশ্ন সর্বত্রই, অনেকটা লোডশেডিংয়ের মতোই বন্ধ হয়ে যেতে পারে বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবস্থা? অকেজো হয়ে পড়তে পারে নেট-ব্যাঙ্কিং। সাড়ে ১৯ বছর আগের অভিজ্ঞতার পর অবশ্য এবার ততটা উদ্বেগে নেই বিজ্ঞানী মহল। কারণ তাদের আস্থা বাড়িয়েছে আগে থেকে নেয়া কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। তার পরেও যে প্রশ্নটাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না তা হলো সেই ব্যবস্থা ঠিক সময়ে যদি কার্যকর না হয়, তাহলে কী হবে? -আনন্দবাজার
×