নিজস¦ সংবাদদাতা, পাবনা, ১৮ মার্চ ॥ মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবনবাজি রেখে অস্ত্র হাতে আবুল কাশেম যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করলে ও আজ পর্যন্ত গেজেটে তার নাম ওঠেনি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার আবেদন করেও কোন লাভ না হওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ভাইদের সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে জীবন কাটাচ্ছেন। হতভাগা এ মুক্তিযোদ্ধা সুজানগর উপজেলার সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আবদুল কাদের সরদারের ছেলে। জানা গেছে, আবুল কাশেম ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের পর প্রশিক্ষণ নিয়ে ৭নং সেক্টরে যোগ দেন। তিনি পাবনা সদর, সুজানগর ও বেড়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে কৃতিত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেন। এ সময় তার কমান্ডার ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন সন্টু। আবুল কাশেম ১৯৭৪ সালের ১২ নবেম্বর জাতীয় রক্ষীবাহিনীতে যোগ দেন। রক্ষীবাহিনীর সদস্যরা সেনাবাহিনীতে আত্মীকরণ করা হলে তিনি সেনাবাহিনীর ৭নং ইস্টবেঙ্গলে কর্মরত ছিলেন। তার সৈনিক নং-৩৯৫৭৮৫৬। ১৯৭৬ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকা-ের পর সেনাবাহিনীতে আত্মীকৃত রক্ষীবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হলে তিনি ছুটির আবেদন রেখে বাড়ি চলে আসেন। সেনাবাহিনীতে ৫ মাস অনুপস্থিতির কারণে ১৯৭৬ সালের ৪ আগস্ট তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। আবুল কাশেম মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তির জন্য থানা কমান্ডে ও মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ডে ফরম জমা দেন। মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা প্রকাশ করে সেখানে ১৯৫নং ক্রমিকে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। তিনি দীর্ঘকাল অপেক্ষা করলেও এখন পর্যন্ত তার নাম গেজেট নোটিফিকেশন হয়নি।
মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমের তৎকালীন সশস্ত্রবাহিনীর অধিনায়ক আতাউল গণী ওসমানী ও আঞ্চলিক অধিনায়ক মেজর গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর যুগ্ম স্বাক্ষরে স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্র রয়েছে।