এম শাহজাহান ॥ ‘আনন্দেরই সাগর থেকে এসেছে আজ বান, দাঁড় ধরে আজ বোস্ রে সবাই টানরে সবাই টান।’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কবিতার মতোই বঙ্গোপসাগরে এখন বান দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সেই বান শুধু বিশাল জলরাশির নয়, অফুরান সম্পদের! সুনীল অর্থনীতি বা সমুদ্র সম্পদ নিয়ে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বছরে আয় হবে আড়াই লাখ কোটি মার্কিন ডলার। এলক্ষ্যে তেল-গ্যাস উত্তোলন, মৎস্য সম্পদ আহরণ, বন্দরের সুবিধা সম্প্রসারণ ও পর্যটনসহ এই চারটি ক্ষেত্র নিয়ে বড় পরিসরে কাজ শুরু করা হচ্ছে। দ্রুত কাজ এগিয়ে নিতে সমুদ্র সম্পদ আহরণে বড় অঙ্কের বিনিয়োগের জন্য পরিকল্পনা করছে আওয়ামী লীগ সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
জানা গেছে, মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে আইনী লড়াইয়ে বিশাল সমুদ্র সীমা জয়লাভের পর বাংলাদেশের অর্জিত জলসীমার ওপর দিয়ে বিমান চলাচলের জন্য পাঁচটি আন্তর্জাতিক রুট আবিষ্কার হয়েছে। এয়ার ট্রাফিক সার্ভিস প্রদানের জন্য এ রুটগুলোর ট্রাফিক কন্ট্রোল বাংলাদেশ বুঝে নিলে এখনই বাংলাদেশের রাজস্ব প্রাপ্তির খাতায় আরও যোগ হবে ২৫০ কোটি টাকা। তেল-গ্যাসের পাশাপাশি বাংলাদেশের সীমানায় রয়েছে মাছের খনি। উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে ৪৫০ প্রজাতির মাছ আহরণ করা সম্ভব। বঙ্গোপসাগরে ১৩টি জায়গায় আছে সোনার চেয়ে অধিক মূল্যবান বালি, ইউরেনিয়াম ও থোরিয়াম। যাতে মিশে আছে ইলমেনাইট, গার্নেট, সিলিমেনাইট, জিরকন, রুটাইল, ম্যাগনেটাইট। অগভীরে জমে আছে ‘ক্লে’। যা দিয়ে তৈরি হয় সিমেন্ট। বে অব বেঙ্গল ঘিরে গড়ে উঠবে পর্যটন শিল্প। দেশী-বিদেশী পর্যটকরা সাগরে প্রমোদ ভ্রমণ করবেন। এছাড়া বঙ্গোপসাগর ঘিরে চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি পায়রা বন্দর গড়ে উঠছে। সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের। সাগরে জেগে উঠা নতুন চরে হবে সবুজ বনায়ন।
এদিকে ব্লু-ইকোনমি বা সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর উদ্যোগে একটি জরুরী বৈঠক করা হয়। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ব্লু-ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতি সেল এই বৈঠকের আয়োজন করে। ওই সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম, মেরিটাইম এ্যাফেয়ার্স ইউনিট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব রিয়ার এডমিরাল (অবঃ) মোঃ খোরশেদ আলম ও ব্লু-ইকোনমি সেলের প্রধান অতিরিক্ত সচিব গোলাম শফিউদ্দিন সেলের কার্যক্রম তুলে করেন। বৈঠকে দ্রুত সমুদ্র সম্পদ আহরণের ওপর জোর দেয়া হয়। এছাড়া সমুদ্র সম্পদ আহরণের পাশাপাশি তা ব্যবহারে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয় বৈঠকে। এর মধ্যে মাছ ধরার আর্টিশনাল নৌকা-ট্রলারসমূহের লাইসেন্স প্রদানের সরকারী আইন-বিধান প্রয়োজনে শিথিল করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক লাইসেন্স প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। জাহাজ শিল্পের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ পতাকাবাহী জাহাজ সংরক্ষণ আইন-২০১৯ অনুমোদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ইনল্যান্ড ফিশিংয়ের বিষয়ে প্রতিদিন ছেলেদের মাছের অবস্থান জানার জন্য যে সকল উদ্যোগ-প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে তা কার্যকর করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সি ক্রুজ-কোস্টাল ট্যুরিজম ফলপ্রসূ করতে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করার কথা বলা হয়েছে। একই বছরে যত জাহাজ আসবে তা একেবারেই সরকারের কাছ থেকে সকল প্রকার ক্লিয়ারেন্স অনুমোদন নেয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশ করা হয়। সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন ও স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে পরিবেশ দূষণ ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার বিষয়টি পরিবেশ অধিদফতর নিয়মিত মনিটর করবে। সমুদ্র উপকূলে নতুন জেগে উঠা চরের মালিকানার বিষয়ে চর জেগে উঠা মাত্র দ্রুততার সঙ্গে সেখানে বনায়নপূর্ব মালিকানা নিশ্চিত করতে হবে।
একই সঙ্গে বাংলাদেশে অর্জিত জলসীমার ওপর এফআইআর (ফ্লাইট ইনফরমেশন রিজিওন) বর্ধিতকরণসহ এয়ার ট্রাফিক সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব আয় প্রাপ্তির লক্ষ্যে রাডারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জনবলের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়।
বৈঠকে যেসব বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আনা হয়েছে ॥ সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এমডি তরিকুল আতিক বলেন, লংলাইন ফিশিংয়ের জন্য ১০ বছরের বেশি পুরাতন জাহাজ আমদানির পরিবর্তে ১৮ বছর করা হয়েছে। এছাড়া সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে কারও কোন আগ্রহ থাকলে মন্ত্রণালয় থেকে তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার বিষয়ে জোর দেয়া হয়। তিনি জানান, মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকার লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য শর্ত শিথিল করে আরও সহজ করা প্রয়োজন। সভায় কাঠের নৌকার (আর্টিশনাল) লাইসেন্স মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রদানের সুপারিশ করা হয়। নতুন কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, গভীর সমুদ্রে আগামী তিন মাসের মধ্যে টুনা মাছ ধরার পরিকল্পনা এবং মেরিকালচার, সি উইড ও শামুক ঝিনুক নিয়ে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এম মোমিনুল হক বলেন, ৭টি নির্ধারিত স্থানে টাওয়ার স্থাপনের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে যার মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর নাগাদ শেষ করে আনা হবে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে মাছের অবস্থান ট্র্যাকিংসহ জেলেদের কাছে যে কোন মেসেজ সহজে প্রেরণ করা সম্ভব হবে। পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশ পতাকাবাহী জাহাজ অগ্রাধিকার পাবে। দেশের এক বন্দর থেকে অন্য বন্দরে কন্টেনার পরিবহনের উদ্দেশ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইতোমধ্যে ৪২টি প্রতিষ্ঠানকে কন্টেনার জাহাজ নির্মাণ বা সংগ্রহের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। এসব জাহাজের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তিনটি জাহাজ বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক ২টি এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ১১টিসহ মোট ১৬টি জাহাজ ইতোমধ্যে কন্টেনার পরিবহন শুরু করেছে। এছাড়া আরও কিছু জাহাজ নির্মাণ পর্যায়ে রয়েছে।
সি ক্রুজ-কোস্টাল ট্যুরিজমের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্যাসেঞ্জার এ্যান্ড ক্রুজ সার্ভিস চালু করার বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর গত ২৫ অক্টোবর ভারতের নয়া দিল্লীতে অনুষ্ঠিত নৌ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। যা খুব শীঘ্রই চালু করা হবে বলে জানা গেছে।
মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুসন্ধান সংস্থার প্রতিনিধি এ জেড এম জাহিদুল ইসলাম জানান, গভীর সমুদ্রে কোন এলাকায় কি মাছ আছে তা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে জানার জন্য বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক যাচাই-বাছাই ও সংশোধনপূর্বক চূড়ান্ত করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদফতরের প্রতিনিধি জানান, প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন উপকূল ও গভীর সমুদ্র এলাকা চিহ্নিতকরণ, সামুদ্রিক প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা ঘোষণা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যে লোকবল দরকার তা বর্তমানে না থাকায় সঠিকভাবে মনিটর করা সম্ভবপর হচ্ছে না। বর্তমান জনবল দিয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো চিহ্নিতপূর্বক মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি আরও জানান, পরিবেশ দূষণ, পাহাড় কাটা ইত্যাদি বিষয় অনলাইন মনিটরিং করার জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে যা, বাস্তবায়িত হলে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার হবে। এছাড়া সমুদ্র দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনগত কাঠামো শক্তিশালী করার জন্য মেরি পলিউশন নিয়ন্ত্রণ এ্যাক্ট, ওয়েল পলিউশন কন্ট্রোল এ্যাক্ট, মেরিন ভেসেল এয়ার পলিউশন কন্ট্রোল এ্যাক্ট, সী ডাম্পিং নিয়ন্ত্রণ এ্যাক্ট, ব্লাষ্ট ওয়াটার কন্ট্রোল এ্যান্ড প্রিভিশন এ্যাক্ট, ইনভাসিব এলিয়ন স্পাইসিস কন্ট্রোল এ্যান্ড প্রিভেনশন এ্যাক্ট, আন্ডার ওয়াটার নয়েজ কন্ট্রোল এ্যাক্ট, ল্যান্ড বেইসড পলিউশন কন্ট্রোল এ্যাক্ট প্রণয়ন এবং যথাযথভাবে আইন প্রয়োগ করার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। এছাড়া সমুদ্রে নতুন জেগে উঠা চরের মালিকানার বিষয়ে সমাধান করে দ্রুততার সঙ্গে বনায়ন করার তাগিদ দেয়া হয়।
এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ইয়াসমিন সুলতানা জানান, রিসাইক্লিং জাহাজ শিল্পের মালিকদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল তা গত জুলাই মাসে অনুমোদন পাওয়া গেছে। এ প্রকল্পটির আওতায় শীঘ্রই শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত শ্রমিক এবং ব্যবস্থাপনায় জড়িত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সমন্বয়ের মাধ্যমে এ প্রকল্পের অধীন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া বরগুনা জেলায় রিসাইক্লিং শিল্প স্থাপন এবং পটুয়াখালী জেলায় জাহাজ নির্মাণ এবং মেরামত শিল্প স্থাপনের জন্য বরগুনা ও পটুয়াখালি জেলা প্রশাসক প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে।
সাগরের জলসীমায় পাঁচটি আন্তর্জাতিক রুট ॥ বাংলাদেশের সীমানায় সাগরের জলসীমায় পাঁচটি আন্তর্জাতিক রুট আবিষ্কার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক রুট রয়েছে তা বাংলাদেশের রাডার ব্যবস্থার কাভারেজের বাইরে অবস্থিত। তবে তিনটির মধ্যে পি-৬৪৬ একটি রুটের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই রুটে দৈনিক আনুমানিক গড়ে ৫৫টি এয়ারক্রাফট যাতায়াত করে। পি-৬৪৬ রুটে চলাচলকারী ফ্লাইটসমূহের বাংলাদেশের এরোনটিক্যাল চার্জ অনুযায়ী দৈনিক গড় রাজস্ব (মাঝারি সাইজের এয়ারক্রাফট অনুযায়ী) হিসাব ১৬৫০০ মার্কিন ডলার (৫৫গুন ৩০০ মা. ডলার) ও বার্ষিক সম্ভাব্য রাজস্ব ৬০,২২,৫০০ মা. ডলার অর্থাৎ ৪৯ কোটি ৯৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা। অন্য দুটি এয়ার রুট এন-৮৯৫ ও এম-৭৭০এ যাতায়াতকারী ফ্লাইটের সংখ্যার হিসাব করা সম্ভব হয়নি। এই তিনটির পাশাপাশি আরও দুটি রুটের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই হিসেবে পাঁচটি রুটে ২৫০ কোটি টাকা আয় করতে পারবে বাংলাদেশ। বেসরকারি বিমান চলাচল কর্র্তৃপক্ষের উপসচিব মো. হুমায়ূন কবির বলেন, জলসীমার উপর দিয়ে যে আকাশসীমা রয়েছে তা পার্শ্ববতী দেশ ভারতের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। আগামীতে বাংলাদেশ থেকে নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সাগর অনুসন্ধান করছেন ৩৮ জন বিজ্ঞানী ॥ বর্ধিত জলসীমায় নিয়মিত অনুসন্ধান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট। বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে গঠিত হয়। এ পর্যন্ত ১০জন বিজ্ঞানীসহ মোট ১০৫ এই ইনস্টিটিউটে জন কর্মরত আছেন। বর্তমানে আরও ২৮ জন বিজ্ঞানী নিয়োগের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। কর্তব্যরত বিজ্ঞানীরা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহযোগিতায় বিভিন্ন সমুদ্রগামী জাহাজ ও মৎস্য অধিদফতরের আরভি মীন সন্ধানী জাহাজে বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজ করছেন।
এছাড়া ন্যাশনাল ওশনোগ্রাফিক এ্যান্ড মেরিটাইম ইনস্টিটিউট’ বা নোয়ামি নামে একটি প্রতিষ্ঠান সমুদ্র সম্পদ নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছে। এই প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সিরাজুর রহমান খান সম্প্রতি একটি সেমিনারে সমীক্ষাভিত্তিক বক্তব্য ও ভিডিও চিত্র উপস্থাপন করেন। সেখানে বলা হয়, সমুদ্র বিজয়ের ফলে বাংলাদেশ যে অঞ্চলের মালিকানা পেয়েছে, সেখানে অন্তত চারটি ক্ষেত্রে কার্যক্রম চালানো হলে ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতিবছর প্রায় আড়াই লাখ কোটি মার্কিন ডলার উপার্জন করা সম্ভব। এজন্য সমুদ্রে যেতে হবে। যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।