ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নান্দাইলে খাল দখল করে পাকাস্থাপনা নির্মাণ

প্রকাশিত: ০৩:২৭, ১১ জানুয়ারি ২০১৯

নান্দাইলে খাল দখল করে পাকাস্থাপনা  নির্মাণ

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ, ১০ জানুয়ারি ॥ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের আমলিতলা বাজার এলাকায় দুপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার পানি নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে খালের প্রশস্ততা সঙ্কুচিত হওয়ার পাশাপাশি পানি প্রবাহ বিঘ্ন হয়ে বর্ষা মৌসুমে পালাহার গ্রামের কয়েকশ একর ফসলি জমি ও জনপদের পানি নিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পালাহার আমলিতলা বাজারের সামনের দুপাশে সাত শ্রমিক দিয়ে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী এই পাকাস্থাপনা নির্র্মাণ কাজ করছেন। ইতোমধ্যে প্রায় ২শ ফুট খাল দখল করে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেছে। এতে করে খালটি নালায় পরিণত হয়েছে। খালের উত্তর দিকে মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ নামে সাইফুল ইসলামের রড-সিমেন্ট, ইট-বালি ও স্যানিটারি সামগ্রী বিক্রির দোকান রয়েছে। দোকান ঘেঁষে ওই খালটি প্রবাহিত হয়েছে। স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, দোকানের সামনের বেশকিছু অংশ পড়েছে সওজের জমির ওপর। ব্যবসার প্রসারের জন্য সাইফুল ইসলাম কালভার্টের পশ্চিম দিকের পানি নিষ্কাশনের খালে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে ঢেকে দিচ্ছেন। পরে মাটি ফেলে সমান করে খালের ওপর বিপণিবিতান তৈরি করবেন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল বলেন, স্থাপনা নির্মাণের জন্য তিনি কারও কাছ থেকে অনুমতি নেননি। অন্যরা কালভার্টের পূর্বপাশে কাঁচাপাকা স্থাপনা নির্মাণ করায় তিনি উৎসাহিত হয়েছেন। অবৈধভাবে খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করার বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল বলেন, এজন্যই তো আমি ড্রেন করছি। যাতে পানি সহজেই চলাচল করতে পারে। স্থানীয়রা জানান, গ্রামের পানি নিষ্কাশনের অন্যতম পথ খালটি। দখলের কারণে এটি অনেকটাই ছোট হয়ে এসেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যাহত হবে। একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় সাইফুল এই ধরনের কাজ করছে। কালভার্টের দুপাশে প্রকাশ্য দখলবাজি চললেও এলাকার কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল আলম বলেন, মহাসড়কের কালভার্টে এ ধরনের সরু নালা নির্মাণ সম্পূর্ণ বেআইনী। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, সরকারী কোন খাল এভাবে দখল করা যাবে না। বিষয়টি খবর নিয়ে তা দ্রুত দখলমুক্ত করা হবে।
×