ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

চার দফা দাবি

রাজশাহীতে সরকারী স্কুলে ভর্তি নিয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ২ ডিসেম্বর ২০১৮

রাজশাহীতে সরকারী স্কুলে ভর্তি নিয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ সরকারী স্কুলে ভর্তিযুদ্ধের প্রক্রিয়া নিয়ে এবার শুরুতেই ক্ষুব্ধ রাজশাহীর অভিভাবকরা। সরকারী স্কুলে ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়া, আসন সংখ্যা ও শিশুদের ভর্তির জন্য নির্ধারিত বয়স নিয়ে আপত্তি তুলেছেন অভিভাবকরা। এ অবস্থায় শনিবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর দুই শতাধিক অভিভাবক নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা মেয়রের কাছে স্মারকলিপিও পেশ করে। জানা গেছে, সারাদেশে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে এবার। তারই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী মহানগরীর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য আগামীকাল সোমবার থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন ফরম পূরণ করা যাবে। তবে এবার ভর্তি পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। আর এই সংশোধনীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থী অভিভাবকরা। সংশোধনী অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির বয়স ৬ বছরের উর্ধে, তৃতীয় শ্রেণীতে ৮ বছরের উর্ধে, ষষ্ঠ শেণীতে ১১ বছরের উর্ধে ও নবম শ্রেণীতে ভর্তির বয়স ১৪ বছরের উর্ধে করা হয়েছে। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে একই শ্রেণীতে আরও এক বছর কম বয়সেই আবেদন করা যেত। এছাড়াও এবার শুধুমাত্র একটি স্কুলেই ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে। কিন্তু পূর্বে একই ভর্তি পরীক্ষার ভিত্তিতে ৪টা স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন দেয়া যেত। এই নীতিমালার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে অভিভাবকরা চারদফা দাবি তুলেন ধরেন। পূর্বের মতো চারটা স্কুলে পছন্দ দিতে পারা, প্রত্যেক শ্রেণীতেই বয়স এক বছর কম অর্থাৎ তৃতীয় শ্রেণীতে বয়স ৮ এর পরিবর্তে ৭ বছরের উর্ধে করা, স্কুলগুলোতে আসন সংখ্যা বাড়ানো ও ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রদান করার দাবি জানান অভিভাবকরা। অভিভাবকরা জানান, আগে এক বছর কম বয়সেই বাচ্চাদের ভর্তি করা যেত। কিন্তু এখন আরও এক বছর পরে তাদের বাচ্চাদের ভর্তি করতে হবে। এক্ষেত্রে গতবছর যারা ভর্তিকৃত বাচ্চাদের তুলনায় তাদের বাচ্চারা পিছিয়ে পড়ছে। এ সময় তারা পূর্বের নীতিমালা বজায় রাখার দাবি জানান। অভিভাবকরা বলেন, রাজশাহীতে ছেলেদের মাত্র চারটি স্কুল। একটি স্কুলে ভর্তি পরীক্ষায় একজন বাচ্চা ৫০ নম্বর পেয়েও দেখা গেল ভর্তির সুযোগ পেল না। কিন্তু এমনও হতে পারে অন্য স্কুলে অন্য আরেকজন বাচ্চা ৪৮ নম্বর পেয়েই সুযোগ পেয়ে গেল। তাহলে পূর্বের বাচ্চাটি কি দোষ করল ? সে তো আর ভর্তি হতে পারছে না। যদি ৪টা স্কুলে চয়েস দেয়া যায় তাহলে এক স্কুলে না হলেও অন্য স্কুলে ৫০ নম্বর পাওয়া বাচ্চাটির ভর্তি হয়ে যাবে। অভিভাবকরা জানান, এর আগে ২০১৬ সালে একইভাবে বাচ্চাদের ভর্তির বয়স বাড়ানো ও ১টি স্কুলে চয়েস দেয়ার নীতিমালা প্রণয়ন করেছিল রাজশাহী জেলা প্রশাসন। দুই বছর পর আবারও সেই একই নিয়ম শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে দাবি অভিভাবকদের।
×