গত ৩ সেপ্টেম্বর দৈনিক জনকণ্ঠের তৃতীয় পৃষ্ঠার প্রথম কলামে “লৌহজংয়ে জন্মাষ্টমীর আয়োজন নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে হট্টগোল” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, উক্ত প্রতিবেদনে তার নিজের এবং তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা, বহিরাগতদের নিয়ে মঞ্চ দখল ও অনুষ্ঠান প- করার অভিযোগ আনা হয়েছে, যা সঠিক নয়। ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, সেদিনের অনুষ্ঠানে এ্যাটর্নি জেনারেলের সমর্থকদের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা ও মঞ্চ দখল করার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া এ্যাটর্নি জেনারেল বহিরাগত কোন লোক নিয়ে দক্ষিণ মশদগাঁওয়ে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে যাননি। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের আমন্ত্রণে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে অনুষ্ঠানে গেছেন।
সেদিনের প্রকৃত ঘটনা উল্লেখ করে ব্যাখ্যায় বলা হয়, এ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে দক্ষিণ মশদগাঁওয়ের হিন্দু সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের নিবিড় সম্পর্ক। তিনি অনেক আগে থেকেই তাদের বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আসছেন এবং সাহায্য সহযোগিতা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ মশদগাঁওয়ের জন্মাষ্টমী উদ্্যাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ মাহবুবে আলমকে প্রধান অতিথি হওয়ার অনুরোধ করেন। তারা এ বিষয়টি জানিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য সাগুফ্তা ইয়াসমিন এমিলিকে নিমন্ত্রণ করতে গেলে তিনি মাহবুবে আলমকে প্রধান অতিথি করার বিষয়ে আপত্তি জানান। বিষয়টি শুনে এ্যাটর্নি জেনারেল জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দকে বলেন, কাউকেই প্রধান অতিথি না করলেই বিষয়টি মিটে যায়। সেই অনুযায়ী এ্যাটর্নি জেনারেলের শুভেচ্ছা সংবলিত একটি ব্যানার অনুষ্ঠানে টানানো হয়। কিন্তু পাশেই সংসদ সদস্য এমিলিকে প্রধান অতিথি লিখে তার লোকেরা আরেকটি পাল্টা ব্যানার টানিয়ে দেয়। নির্ধারিত সময়ে এ্যাটর্নি জেনারেল অনুষ্ঠানে যোগ দেন। গীতা পাঠ দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান শুরুর বেশ কিছুক্ষণ পর এমিলি তার দলবল নিয়ে সেখানে গিয়ে হইচই ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। তার লোকেরা টেবিল চাপড়াতে থাকেন ও এ্যাটর্নি জেনারেলের সমর্থকদের হুমকি ধমকি দিয়ে অনুষ্ঠান বানচালের অপচেষ্টা চালান। এক পর্যায়ে সংসদ সদস্য তার লোকজন নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করলেও তার সঙ্গে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা যাননি। এ্যাটর্নি জেনারেল হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ও তার সমর্থকসহ সভাস্থলে অবস্থান করেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে অনুষ্ঠান কিছু সময়ের জন্য বিরতি হয়। বৃষ্টি থামলে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে এ্যাটর্নি জেনারেল পূর্ব নির্ধারিত জন্মাষ্টমী র্যালি সম্পন্ন করেন। জন্মাষ্টমী উদ্্যাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শীতল রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।
এ্যাটর্নি জেনারেল এলাকার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য ও নেতাদের নিয়ে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান উদ্্যাপন করেন। কারণ সভা ও র্যালিতে তার সঙ্গে ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১ কামরুল হাসান বাবুল, লৌহজং উপজেলার আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য সিরাজুল আলম ফকু বেপারি, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক আবু ইউসুফ ফকির, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সিসিল বেপারি, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মুন্সি দেলোয়ার হোসেন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তপন, লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ওয়াদুদ খান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাজী নূরুল আমীন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ ফজলুল করিম, লৌহজং ও ঠেউটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মামুন বেপারি, কনকসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, জেলা যুবলীগের দফতর সম্পাদক ওলিউল ইসলাম, কুমার ভোগ ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার খান, লৌহজং থানার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মহিউদ্দিন বাবুল মুন্সি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোল্লা মোহম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি বিল্লাল দেওয়ান, কলমা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আলী হোসেন মতু, আওয়ামী লীগ ডি.এম. কাদের এবং শেখ জালাল আহাম্মেদ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, সহ-সভাপতি, ঢাকা মহানগর। কনকসার ও লৌহজং, ঠেউটিয়ার ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
এ ছাড়া টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কাঠাদিয়া শিমুলিয়ার আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহ আলম মাতবর এবং যশলং ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি রাবু মাতবরসহ প্রায় দেড় হাজার আওয়ামী লীগ কর্মী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। লৌহজং উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি লিটন সিকদার, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি শেখ আরফান হোসেন, স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা শীতল রঞ্জন দাস, সহ-সভাপতি পূজা উদ্্যাপন কমিটি রতন দত্ত, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পলাশ কুমার দে, সহ-সম্পাদক এ্যাডভোকেট বিপ্লব চন্দ্র সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক বিনয় চন্দ্র মালো, যুগ্ম-সম্পাদক মনোজ কুমার অমিত, সদস্য গৌরাঙ্গ চন্দ্র সিকদার, বলরাম চন্দ্র দাস, প্রদীপ কুমার দাস, রামেশ্বর, চিন্ময় চ্যাটার্জি প্রমুখ। -বিজ্ঞপ্তি
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: