স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক অধ্যাপক বদিউল আলম মজুমদারের বাসায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে বদিউল আলম মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে এ অভিযোগ করেন। এদিকে ঘটনার পরই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ওই ঘটনায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাটের গাড়িতে হামলার পরপরই দ্রুত সাড়া এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য ডিএমপির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। রবিবার বিকেলে এ ব্যাপারে মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর জানান, মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট এই এলাকায় এলে তা আমাদের জানানোর কথা। শনিবার গভীর রাতে বদিউল আলমের বাড়িতে এমন একটি অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত থাকবেন তা আমাদের জানানো হয়নি। কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজধানীতে এমনিতেই মানুষের ভোগান্তি চরমে। তারপরই এমন একটি অনুষ্ঠানের কথা না জানানো রহস্যজনক।
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার অভিযোগ করেন, শনিবার রাতে মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে আমার বাসায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সম্মানে বিদায়ী অনুষ্ঠান ছিল। রাত সাড়ে ১১টার দিকে অনুষ্ঠান শেষে বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাটের গাড়িতে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তিনি জানান, এরপর আমার বাড়িতেও হামলা করে দুর্বৃত্তরা। তারা বাড়ির দরজা-জানালা ভাংচুর করেছে, ঢিল ছুড়েছে। গেট দিয়ে ঢুকে বাড়িতে হামলা করে। বদিউল আলম জানান, হামলার পর আমি পুলিশকে খবর দেই। তাদের একটি দল আসে। তারা এসে তদন্ত করে গেছে। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছাড়াও বদিউল আলম মজুমদারের বাড়িতে সে সময় ড. কামাল হোসেন, তার স্ত্রী হামিদা হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তার বাসায় উপস্থিতির বিষয়টি পুলিশকে কেন জানাননি বদিউল আলম তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ডিএমপির প্রতি মার্কিন দূতাবাসের কৃতজ্ঞতা ॥ দ্রুত সাড়া প্রদান এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস। রবিবার দুপুরে দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়, মোটরসাইকেল আরোহীসহ একদল সশস্ত্র লোক শনিবার মোহাম্মদপুর এলাকায় রাষ্ট্রদূতকে বহনকারী দূতাবাসের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। রাষ্ট্রদূত ও তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত দল অক্ষত অবস্থায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হামলায় রাষ্ট্রদূত, তার গাড়িচালক ও নিরাপত্তা স্টাফদের কোন ক্ষতি হয়নি। তবে রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা দলের দুটি গাড়ির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। ঘটনায় দ্রুত সাড়া প্রদান এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।