স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ শরণখোলায় গত দু’দিনে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে ২৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হলেও দু’জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হঠাৎ করে কুকুরের আক্রমণের খবরে উপজেলার সর্বত্র আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এদিকে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন না থাকায় রোগীরা বিপাকে পড়েছে। বাধ্য হয়ে তাদের বাইরে থেকে চড়া মূল্যে কিনতে হচ্ছে ভ্যাকসিন। জানা যায়, গত দু’দিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থান হতে কুকুরে কামড়ানো রোগী আসতে থাকে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও সরবরাহ না থাকায় রোগীদের সরকারী ভ্যাকসিন সরবরাহ পাচ্ছে না। আহতদের মধ্যে উপজেলার বানিয়াখালী গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মোস্তফা সিকদার (৪৫) ও খাদা গ্রামের লেহাজউদ্দিন মিয়ার ছেলে কাজল আকন (৬৫) কে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া রোগীরা হলেন, নাসিমা, সুমি (১২), নিসা (৬), নাইমা (১০), আরিফুল (১০), সামিয়া (১১), শাজাহান (১০), জামিলা (২), তাসলিমা (৪৮), সরোয়ার (৩৫), আলআমিন (৩৫), শামসুননাহার (৬০), ফাতেমা (১৪), ইমরান (৭), ইয়ামিন, (৯) ও শিমুল (১৪) প্রমুখ। উপজেলার খোন্তাকাটা, রাজাপুর, বাংলাবাজার এলাকায় কুকুরের আক্রমণের শিকার বেশি হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অসীম কুমার সমাদ্দার জানান, ধারণা করা হচ্ছে কুকুরগুলো জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হওয়ায় মানুষকে আক্রমণ করছে। তাছাড়া হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় জরুরীভাবে সিভিল সার্জন অফিসে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।