ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিমানটি আগেও দুর্ঘটনায় পড়েছিল

প্রকাশিত: ০৫:২২, ১৪ মার্চ ২০১৮

 বিমানটি  আগেও  দুর্ঘটনায় পড়েছিল

সংবাদদাতা, সৈয়দপুর, নীলফামারী, ১৩ মার্চ ॥ নেপালে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলার বোম্বাইডার ড্যাস কিউ ৪০০ (ঝ২-অএট) বিমানটি এর আগেও দুর্ঘটনায় পড়েছিল। ২০১৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর এই বিমানটি ৭৪ জন যাত্রী নিয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ৫টা ৫ মিঃ অবতরণ করে। পরে রানওয়ের এক প্রান্তে ইউটার্ন নিয়ে যখন পার্কিং পয়েন্টে তখন একটি চাকা আটকে মাটিতে চলে যাওয়ায় ল্যান্ড পোস্ট দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে প্রাণে বেঁচে যান যাত্রীরা। এ সময় বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন জোবায়ের বিমানটি চলন্ত অবস্থায় মাটি থেকে পুনরায় রানওয়েতে তুলে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। আর যাত্রীরা মন্তব্য করেছিলেন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা বিমান ও বিমানে থাকা যাত্রীদের রক্ষা করেছেন। কারণ মাটিতে চলে যাওয়ার পরেও বিমানটি পুনরায় রানওয়েতে উঠে আসতে সক্ষম হয়। ঘটনার সময় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এমডি মামুনুর রশীদ সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবস্থান করছিল। পরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে ইউএস-বাংলার দক্ষ প্রকৌশলীদের এনে বিমানটি পার্কিং ল্যান্ডে ফিরিয়ে আনেন এবং ফিরতি যাত্রীদের নিয়ে যথারীতি ঢাকায় ফিরে যান। তবে যাত্রীরা ভয়ঙ্কর আতঙ্কিত হলেও কর্তৃপক্ষ একটি ব্রিফ দিয়ে দায় সেরেছিল। যাত্রীরা দুর্ঘটনায় কবলের কথা স্বীকারের কথা জানালেও ইউএস-বাংলার সৈয়দপুর বিমানবন্দর ম্যানেজার রাকিব মুস্তাকিম এ ঘটনা এড়িয়ে যান। এর ঠিক প্রায় আড়াই বছর পর একই বিমান ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলার ওই বিমানটি গত ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি খেলার মাঠে বিধ্বস্ত হয়।
×