ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

২০ বছরেও হয়নি ঠেগরপুনি সেতু ॥ ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

২০ বছরেও হয়নি ঠেগরপুনি সেতু ॥ ভোগান্তি

বিকাশ চৌধুরী, পটিয়া, ২১ সেপ্টেম্বর ॥ পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন-ছনহরা সংযোগ সড়কের সেতুটি দীর্ঘ ২০ বছরেও হয়নি। উপজেলার ছনহরা ও ভাটিখাইন ইউনিয়নের অসংখ্য নারী-পুরুষ ও শিশু প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। বর্তমানে বাঁশের একটি সাঁকো দিয়ে এলাকার লোকজন যাতায়াত করছে। সাঁকোর উত্তরে ভাটিখাইনের ঠেগরপুনি ও দক্ষিণে ছনহরা ইউনিয়নের অনন্ত পাঁচটি গ্রাম রয়েছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ভেঙ্গে যাওয়া সেতুটি সরকারীভাবে নির্মাণ করা। তবে ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে সাঁকো ভেঙ্গে একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) থেকে ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সেতুটি নির্মাণের কথা ছিল। পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করতে প্যান্ডেল, নামফলক বসানোর জন্য একটি থামও নির্মাণ করা হয় বলে ভাটিখাইন ইউপি মেম্বার নজরুল ইসলাম জানান। ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় এলাকার প্রতিটি নারী-পুরুষকে প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। সরেজিমন ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম ভাটিখাইন ও ছনহরা সীমান্তে শ্রীমতি খালের ওপর রয়েছে এ বাঁশের সাঁকো। ২০ বছর আগে এখানে একটি ব্রিজ ছিল। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে ব্রিজটি ভেঙ্গে খালে পড়ে যায়। এরপর থেকে এলাকার লোকজন মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলে চলাচলের জন্য সাঁকো নির্মাণ করে। এ এলাকায় উত্তর ছনহরা টিপি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিকন খলিফা ছিদ্দিক আহমদ দাখিল মাদ্রাসা, নলিনীকান্ত মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, ভাটিখাইন উচ্চ বিদ্যালয়, ভাটিখাইন এ হাকিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও রয়েছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বাংলাদেশের প্রধান তীর্থস্থান ঠেগরপুনি বৌদ্ধমন্দির। এখানে প্রতি সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন ধন্যা কিংবা প্রার্থনা করতে আসেন। এদিকে, বাঁশের সাঁকোসংলগ্ন ঠেগরপুনি সংযোগ সড়কের প্রায় দেড় শ’ ফুট রাস্তা কাঁচা থাকার কারণে সিএনজি, রিক্সাসহ কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ছনহরা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোরশেদ আলম জানিয়েছেন, তাদের এলাকার বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণের জন্য টেন্ডারও হয়েছিল। তবে কী কারণে ব্রিজটি আর হয়নি তা জানি না। ভাটিখাইন ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঠেগরপুনি ব্রিজ ২০ বছরেও নির্মাণ না হওয়ায় এলাকার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঠেগরপুনি ব্রিজটি টেন্ডার হলেও পরবর্তীতে এটি বাতিল করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর পটিয়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শফিক বলেন, ঠেগরপুনি ব্রিজ উদ্বোধনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সয়েল টেস্ট শেষে ব্রিজের ডিজাইন অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
×