ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২৩ জুন ২০১৭

উবাচ

দেখে নেব ঈদের পর স্টাফ রিপোর্টার ॥ ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি। এটা সত্যি। তাইতো সরকারবিরোধী আন্দোলন জমাতে তৎপর তারা। যদিও কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। জমে উঠছে না সরকারবিরোধী ইস্যু। রাজনীতি মনে হয় এমনই। হুমকি ধমকির খেল। কাজের কাজ কিছু হোক আর না হোক। এবারের ঈদেও হুমকি ধমকি, হুঁশিয়ারি চলমান। যাকে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি। যদিও প্রতিবছর ঈদের আগে এমন হুঙ্কার শোনা যায়। ঈদের পর যার মার্কিং হয় শূন্য। হয়ত এবারও হবে। তবুও রাজনীতি বলে কথা। মাঠ গরম করে রাখতে হলে চাই গরম কথা। এজন্যই হয়ত নেতারা এসব বলে থাকেন নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে। যেমনটি বলেছেন বিএনপি নেতা দুদু। ঈদের পরেই সরকারের সঙ্গে ফয়সালা হবে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এ ফয়সালা হবে গণতন্ত্রের এবং সহায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার। সময়ই বলবে এর বাস্তবায়ন কতটুকু পর্যন্ত...। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশে এখন গু-াদের শাসন চলছে, গু-াতন্ত্র চলছে। আইনের শাসন বলে কিছু নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাদের ওপর হামলাই তাদের (আওয়ামী লীগের) অতীত চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপির নেতাদের ওপর হামলার প্রতিশোধ নেয়া হবে আগামী দিনে সহায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে ২০ দলীয় জোটকে ক্ষমতায় বসানোর মাধ্যমে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে। সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘যত চেষ্টা আর বিএনপির নেতাদের ওপর ভয়ভীতি প্রদর্শন করুন না কেন ক্ষমতায় আপনারা আর থাকতে পারবেন না। তারা (আ’লীগ) ভাল করেই জেনে গেছে, প্রতিবেশী দেশ সহ-ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের সঙ্গে নেই। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়েই তারা বিএনপির নেতাদের ওপর হামলা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন,সময় থাকতে বিএনপির চেয়ারপার্সনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। ব্যর্থ হলে আপনাকে আন্দোলনের মুখোমুখি হতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত আন্দোলন প্রিয়, অতীতে তারা অনেক বার প্রমাণ দেখিয়েছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তারা যখন আবার ঝাঁপিয়ে পড়বে তখন আপনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। প্রয়োজনে রাস্তায় থাকব স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদ সামনে রেখে সড়ক মহাসড়কে দুর্ভোগ নিয়ে নানা কথা। আলোচনা-সমালোচনা চলছে। যে যাকে পারছেন দোষারোপ করছেন। সবচেয়ে বেশি দায় পড়ছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর ওপর। এটাই স্বাভাবিক। হয়ত এজন্যই সড়ক-মহাসড়কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। চালাচ্ছেন ঝটিকা অভিযান। গত মঙ্গল ও বুধবার ওবায়দুল কাদের ঢাকা-টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পরিদর্শন করেছেন। সেখানে গিয়ে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চার লেনের কাজ সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ভারি বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত এই মহাসড়কের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের তারগাছ এলাকায় সংস্কার কাজ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন। পাশাপাশি মন্ত্রী হিসেবে দায় না এড়িয়ে আশ্বাস দিয়েছেন, সড়কের সঙ্কট সমাধানে প্রয়োজনে ঈদের দিনও রাস্তায় থাকবেন তিনি। মঙ্গলবার সড়ক পরিদর্শনের সময় মন্ত্রী বলেন, ঈদের ১০ দিন আগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলমান ফোর লেনের কাজ এখন বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি গার্মেন্টস, পণ্যবাহী গাড়ি, ওষুধ, পচনশীল খাদ্যদ্রব্য ছাড়া কোন ভারি গাড়ি ঈদের তিন দিন রাস্তায় চলতে পারবে না। জনস্বার্থে যা যা করা দরকার সবই করা হবে। আমরা আশা করছি জনস্বার্থে-জাতীয়স্বার্থে এটা সবাই মেনে নেবেন। বাস মালিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় বন্ধ হয়ে যায়, এক্সিডেন্ট হয়। সড়কে গাড়ি বন্ধ হয়ে গেলে লম্বা টেইল বের হয়। তাই ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় না নামাতে আমি বাস মালিকদের অনুরোধ করছি। আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে মহাসড়কে বেপরোয়া মনোভাব, বেপরোয়া ড্রাইভিং। আমি অবাক হয়ে দেখি আট লেনের রাস্তায় মধ্যরাতেও যানজট হচ্ছে। নোমানের আশ্বাস! স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কিভাবে হবে এ নিয়ে বিএনপির উদ্বেগের কোন শেষ নেই। তারা বারবার এ নিয়ে নানান কথা বলে যাচ্ছেন। নিজ থেকেই দিচ্ছেন নির্বাচনকালীন সরকারের ফর্মুলা। যদিও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলে যাচ্ছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। জবাবে ফের বিএনপি বলছে, শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন নয়। নির্বাচনে অংশ নেয়া না নেয়া নিয়ে যখন বিএনপির মধ্যেই নানা অনিশ্চয়তা চলছে তখন নেতাকর্মীরাও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন। যদিও তলে তলে নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি দৃশ্যমান। আশার কথা হলো বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা? এই দোলাচলের সমাধান দিয়েছেন দলটিরই এক শীর্ষ নেতা। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি। এমন ঘোষণায় রাজনৈতিক অস্থিরতা যেমন কমবে তেমনি দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হবে। রাজনৈতিক বোদ্ধারা মনে করেন রাজনীতির জন্য এটি খুবই ইতিবাচক। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে সরকারকে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার দিতে বাধ্য করা হবে এবং বিএনপি আগামী নির্বাচনে যাবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি একথা জানান। নোমান বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে অনেক ব্যঙ্গ করছে। তাদের উদ্দেশে বলছি, আগামী নির্বাচনে বিএনপি যাবে, বর্জন করবে না। তার আগে সরকারকে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার দিতে বাধ্য করা হবে। কারণ নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার জনগণের দাবি। বিএনপির এ নেতা বলেন, হামলা, মামলা, গুম-খুন তাদের প্রধান এজেন্ডায় পরিণত হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। তিনি বলেন, এই দেশটা সবার। ক্ষমতার লোভে আওয়ামী লীগ গুম, খুন, লুট আর দুর্নীতির রাজনীতি করছে। কিন্তু আগামী দিনে বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে কোন ধরনের প্রতিহিংসার রাজনীতি করবে না। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপির ভিশন-২০৩০ এর আলোচনা-সমালোচনা করছে। এটা তারা করতেই পারে। ভিশনে কোন ভুল থাকলে আমরা সংশোধন করব। কারণ এটা আমাদের শেষ ভিশন নয়।
×