বিশেষ প্রতিনিধি ॥ যে কোন দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের বৃহত্তর ১১টি সিটি কর্পোরেশনের সকল ওয়ার্ডে আগামী ৩১ মে’র মধ্যে কমিটি গঠন করা হবে। দুর্যোগ সাড়াদান এই কমিটি যে কোন দুর্যোগ পরিস্থিতিতে কাজ করবে। এদের সমন্বয়ের জন্য সিটি কর্পোরেশনভিত্তিক মন্ত্রণালয়ে উর্ধতন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারা সংশ্লিষ্ট মেয়রদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিটিগুলো গঠন করবে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিম)-এ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক ৩ দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এ কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ্ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিম-এর মহাপরিচালক আতাউর রহমান, পরিচালক প্রশিক্ষণ ড. পারভীন আক্তার বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলা সক্ষমতায় বাংলাদেশ বিশে^ রোলমডেল। এ সক্ষমতা ও মর্যাদা ধরে রাখতে কর্মকর্তাদের মানসিক এবং প্রযুক্তি ব্যবহারগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। দুর্যোগের ধরন ও এর মোকাবিলায় আধুনিক জ্ঞান রাখতে হবে, আধুনিক কৌশল রপ্ত করতে হবে। কর্মশালায় মন্ত্রণালয়ের সামাজিক নিরাপত্তা ও গ্রামীণ কর্মসংস্থানের শতভাগ লক্ষ্য পূরণের আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। কর্মশালায় বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের কাবিখার সাহায্যে ইতোমধ্যে দেড় লাখ সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। উদ্ভাবনী কাজ হিসেবে ১০০০ বেদে পরিবারের নৌকায় সোলার প্যানেল স্থাপন করা হবে বলে কর্মশালায় জানানো হয়।
কর্মশালায় সরকারের কর্মসম্পাদন চুক্তি ও এসডিজির লক্ষ্য সমূহের সকল বিষয় আলোচনা করা হয়। সরকারের কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী শতভাগ লক্ষ্য পূরণে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার জন্য মন্ত্রী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বছরের ৮-৯ মাস কোন না কোন দুর্যোগে আক্রান্ত হয়। এর মোকাবেলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। এ বছর সময়ের পূর্বেই ঝড়-তুফান শুরুর কথা উল্লেখ করে বন্যাপ্রবণ এলাকায় পূর্ব থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। ১৯টি বন্যাপ্রবণ জেলার ৬০ হাজার ঘরবাড়ি উঁচু করার কাজ বন্যার পূবেই সম্পাদনের জন্য মায়া চৌধুরী কঠোর নির্দেশ দেন।