ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রোবটে ত্রুটি, বাড়ছে ঝুঁকি

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ৪ মার্চ ২০১৭

রোবটে ত্রুটি, বাড়ছে ঝুঁকি

বর্তমান সময়ে বাজারে থাকা রোবটগুলোর নিরাপত্তা ঝুঁকি খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। ব্যবহারকারীদের ‘সাংঘাতিক কোন ক্ষতি করতে’ এসব ঝুঁকি ব্যবহৃত হতে পারে বলে জানান তারা। সাইবার নিরাপত্তা গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইওএ্যাকটিভ সফটব্যাংক রোবোটিক্স, ইউবিটেক রোবোটিক্স, রোবোটিস, ইউনিভার্সাল রোবটস, রিথিঙ্ক রোবটিক্স আর এ্যাসরাটেক কর্পোরেশনের মতো রোবট নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর রোবট অপারেটিং সিস্টেম আর অন্যান্য সফটওয়্যার নিয়ে পরীক্ষা চালায়। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা পরামর্শক লুকাস অপা জানান, ঝুঁকিগুলোর মধ্যে অনিরাপদ যোগাযোগ, সত্যতা যাচাইবিষয়ক ইস্যু, দুর্বল ক্রিপ্টোগ্রাফি, মেমোরি সমস্যা ও প্রাইভেসি ত্রুটি রয়েছে। গবেষণাপত্রটিতে জানানো হয়, বাসাবাড়ি আর কর্মক্ষেত্রে ব্যবহৃত রোবটগুলোর নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে অপরাধীরা সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিলে অপরাধীরা রোবটগুলোর মাধ্যমে মানুষের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাতে পারে বা ক্ষতি করতে পারে। এতে বলা হয়, ‘হঠাৎ করেই নিয়ন্ত্রণ হারানো রোবটগুলো পরিবারের লোকজনদের বা পোষা প্রাণীকে আঘাত করতে পারে, অপ্রত্যাশিত নড়াচড়া করতে পারে।’ ‘হ্যাকড রোবট রান্নাঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারে বা খাবার বা পানীয়তে বিষ মিশিয়ে পরিবারের লোকদের বা পোষা প্রাণীগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।’ এমনকি হ্যাকড রোবট কোন ধারালো বস্তু বা অস্ত্র নিয়ে সেগুলোর অপব্যবহার করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট। নিয়ন্ত্রণ হারানো রোবটগুলো স্মার্টহোম স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে এ্যালার্ম বা তালা অকেজো করে দিতে পারে। আর যদি ওই ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত নাও হয়, রোবটের মাধ্যমে হ্যাকাররা এ্যালেক্সা বা সিরির মতো ভয়েস এ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে গবেষণাপত্রে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এ সমস্যাগুলো সমাধানের যথেষ্ট সময় পেলে তারা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য দেবে। Ñটেক নিউজ অবলম্বনে।
×