স্টাফ রিপোর্টার ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের পর ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক রসরাজ দাসের মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতির মাধ্যমে এ দাবি জানিয়েছে। রসরাজকে বেআইনীভাবে আটক করে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তাঁর মুক্তির দাবি জানায় এই মানবাধিকার সংস্থা।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করার অভিযোগে গত ৩০ অক্টোবর রসরাজ দাসকে গ্রেফতার করা হয়। বাস্তবতা হলো অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন নিরক্ষর মৎস্যজীবী। ফলে তাঁর পক্ষে এটি করা দুরূহ। পাশাপাশি ফেসবুকে ছবি আপলোড করার মতো প্রযুক্তিজ্ঞান, মোবাইলফোন বা কম্পিউটার কোন কিছুই তার কাছে নেই। তাছাড়া ফেসবুকে যে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে তা ফটোশপের মাধ্যমে। এ ধরনের প্রযুক্তিগত যন্ত্রপাতি কোন কিছুই রসরাজ ব্যবহার করেন না।
এ্যামনেস্টি জানায়, বিষয়টি তদন্ত করে গত ২৮ নবেম্বর পুলিশ একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, রসরাজ দাস ওই ছবি আপলোড করেনি। তার এ্যাকাউন্ট অন্য কেউ ব্যবহার করে ছবিটি প্রকাশ করে। অপর এক প্রতিবেদনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও জানিয়েছে, ওই ছবি প্রকাশের সঙ্গে রসরাজ দাসের কোন সম্পৃক্ততা ছিল না। কিন্তু দোষ না থাকা সত্ত্বেও রসরাজ দাসকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়নি। এখনও তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন।
ধর্মীয় অবমাননাকর পোস্ট দেয়ার অভিযোগ তুলে পুলিশ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭/২ ধারায় মামলা করে। এ মামলায় রসরাজকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।