ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় মৃৎশিল্পীদের দুর্দিন কেটে যাচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ৭ আগস্ট ২০১৬

বগুড়ায় মৃৎশিল্পীদের দুর্দিন কেটে যাচ্ছে

সমুদ্র হক, বগুড়া অফিস ॥ মৃৎশিল্পীদের দুর্দিন কেটে যাচ্ছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে তারা যে অর্ডার পাচ্ছে তা সময়মতো সরবরাহ করতে পারছে না। তবে উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় যে লাভ হওয়ার কথা তা হচ্ছে না। বগুড়ার গাবতলির মহিষাবান গ্রামে একশ’ ২০ ঘর মৃৎশিল্পী বংশ পরম্পরায় মাটির হাড়িপাতিল তৈরি করছে। গ্রামটি পালপাড়া নামে পরিচিত। তাদের পূর্বপুরুষ হাটে হাটে গিয়ে মাটির হাড়ি পাতিল বিক্রি করত। এখনও করে, তবে সেই সংখ্যা কম। বগুড়া দইয়ের জেলা হওয়ায় এই শিল্পীরা দইয়ের ছোট বড় নানা ধরনের খুঁটি সরা তৈরি করছে। খুঁটির আকার অনুযায়ী প্রতি একশ’ বিক্রি হয় চারশ’ থেকে সাতশ’ টাকা । মৃৎশিল্পী সুভাষ চন্দ্র পাল বললেন, ইট ভাঁটির মাটি নেয়ার পর নিচের আঠালো মাটি দিয়ে খুঁটি সরা তৈরি করা হয়। দইয়ের সরা ও খুঁটি শক্ত করে বানাতে হয়। তা না হলে দই ভরানোর সময় ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। একটা সময় বগুড়া অঞ্চলে ঘোষ সম্প্রদায় দই তৈরি করত। বর্তমানে দইয়ের ব্যবসা সম্প্রসারিত হয়েছে। বগুড়া শহরের সকল হোটেলেই দই পাওয়া যায়। উপজেলা ও গ্রামের হাটবাজারে দই বিক্রি হচ্ছে এখন। যে কারণে দিনে দিনে মাটির সরা খুঁটির অর্ডার বেড়ে গেছে। সন্তোষ পাল জানালেন ট্রাক ভরে মাটি কিনতে হয়। আগে প্রতি ট্রাক মাটি ছিল আটশ’ টাকা। বর্তমানে তা দ্বিগুণ হয়েছে। এই মাটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় ছেনে চাকে ঘুরিয়ে তৈরি হয় মৃৎশিল্পকর্ম। একেক পরিবার একেক জিনিস বানায়। কেউ বানায় ডুঙ্গি, কেউ হাড়ি পাতিল, কেউ মাটির খেলনা কেউ সরা খুঁটি। এ ছাড়াও যে অর্ডার পাওয়া যায় তা বানিয়ে দেয়া হয়।
×