ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

কাল অমর একুশে ॥ শহীদ মিনারে কঠোর নিরাপত্তা

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

কাল অমর একুশে ॥ শহীদ মিনারে কঠোর নিরাপত্তা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রবিবার শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী থাকছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শনিবার সকাল নয়টা থেকে পরদিন বিকেল ২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাবেন। এজন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ আশপাশের এলাকায় থাকছে কঠোর নিরাপত্তা। প্রতিটি পয়েন্টে চেকপোস্ট আর উঁচু ভবনের ছাদে বসানো হচ্ছে ওয়াচ টাওয়ার। প্রস্তুত থাকছে র‌্যাবের হেলিকপ্টারসহ আধুনিক সব অস্ত্রশস্ত্র ও বিশেষায়িত সব টিম। বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে পুরো এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। শুক্রবার সরেজমিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করে এমন তথ্যই জানালেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। তিনি আরও জানান, এবার শহীদ মিনারের আশপাশের সব হোটেল রেস্তরাঁ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি হোটেল ও মেসগুলোতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পুরো এলাকায় অসংখ্য সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে একাধিক কন্ট্রোলরুম। পুলিশ ও র‌্যাব যৌথভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এর আগে বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সংবাদ সম্মেলনে জানান, নানা বিষয় মাথায় রেখেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন প্রচুর বিদেশী মেহমান। চোরাগোপ্তা হামলাসহ নানা বিষয় মাথায় রেখেই নিরাপত্তা বলয় সাজানো হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে বাড়তি কড়াকড়িকে সুদৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। পুলিশ ও র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, পুরো এলাকা থেকে তুলে দেয়া হচ্ছে হকার, ভাসমান দোকানপাটসহ অস্থায়ী সব স্থাপনা। শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকায় সন্দেহভাজনদের দেহ তল্লাশি ছাড়াও যেকোন ধরনের ব্যাগ বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের নিরাপত্তায় ব্যবহৃত সরকারী অস্ত্র ব্যতীত সব ধরনের বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহনে নিষেধাজ্ঞা থাকছে। শহীদ মিনারে প্রবেশ পথে বসানো হচ্ছে আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর। প্রস্তুত থাকছে সোয়াটসহ সব পুলিশ ও র‌্যাবের বিশেষায়িত টিমগুলো। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সুশৃঙ্খলভাবে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে থাকছে একটি বাফার ব্যারিকেড, অসংখ্য নিরাপত্তা চৌকি, পিকেট পয়েন্ট, টহল দল, বাড়তি পুলিশ ও র‌্যাব, অসংখ্য মহিলা গোয়েন্দা সদস্য, ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট, এ্যাম্বুলেন্স, জরুরী চিকিৎসা সেবাদান কেন্দ্র ও অনুসন্ধান কেন্দ্র। নিষিদ্ধ করা হয়েছে রাস্তায় জটলা করে বসা, যেকোন ধরনের প্যান্ডেল বা মঞ্চ তৈরি। এছাড়া চলাচলের ক্ষেত্রেও বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
×