স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর বায়ায় অবস্থিত সরকারী সেফহোমে আশ্রিত এক ভিকটিমকে পুলিশের সহায়তায় ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
সোমবার আদালতে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, জেলার পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া এলাকার ওই ভিকটিম ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে বায়া সেফহোমে আছেন। গত ২০ জানুয়ারি হাজিরা দেয়ার জন্য তাকে আদালতে নেয়া হয়। হাজিরা শেষে ভিকটিমকে আদালত পরিদর্শক রুহুল আমিন এবং কনস্টেবল খোরশেদাসহ কয়েকজন অজ্ঞাতনামা কনস্টেবলের সহযোগিতায় নগরীর বোলনপুর এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভিকটিমকে ২০ জানুয়ারি দুইবার আসামি পুঠিয়ার জিউপাড়া এলাকার জয়নাল ধর্ষণ করে। একইভাবে আরও একদিন তাকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে ২৪ জানুয়ারি সেফহোমের উর্ধতনরা ভিকটিমের জবানবন্দী রেকর্ড করেন। ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে ভিকটিমের পিতা গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটার দিকে রাজপাড়া থানায় মামলা দায়ের করতে যান। তবে থানার অফিসার ইনচার্জ এ মামলা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেন। অবশেষে সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিচারক মনসুর আলমের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। বাদীর পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন এ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন। আদালত মামলা তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ভিকটিম এবং আসামি জয়নাল স্বামী-স্ত্রী। একটি মামলায় স্ত্রী সেফ কাস্টডিতে আছে। আদালত পুলিশকে হাত করে আসামি জয়নাল স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করে। এর জন্য কনস্টেবল মাসুদ রানা এবং কনস্টেবল খোরশেদা সহায়তা করে। দৈহিক সম্পর্ক করার জন্য কনস্টেবল খোরশেদার বোলনপুর এলাকার বাড়িটি ব্যবহার করা হয়। এ বিষয়ে ভিকটিমের লিখিত বিবরণ পাওয়ার পরে বিষয়টি সমাজসেবা অধিদফতর, রাজশাহীর পরিচালক (প্রতিষ্ঠান), রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও আদালত পরিদর্শকে জানানো হয়।
র্যাব অধিনায়কের অপসারণ দাবিতে আলটিমেটাম
সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ৯ ফেব্রুয়ারি ॥ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কর্তৃক সদরের যশোদলে কিশোরগঞ্জ টেক্সটাইল মিলে স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তর সরিয়ে ফেলা নিয়ে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কিশোরগঞ্জে র্যাব-১৪-এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর রিয়াদুল ইসলাম কর্তৃক নামফলক ভেঙ্গে ফেলার ধৃষ্টতায় মঙ্গলবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলার মুক্তিযোদ্ধারা ও এলাকাবাসী। জেলা যুব কমান্ডের উদ্যোগে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অডিটরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে র্যাবের অধিনায়ককে অপসারণ করাসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক জিএস এনায়েত করিম অমি। পরে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তৃতা করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আসাদ উল্লাহ, সাবেক কমান্ডার এবি ছিদ্দিক, যশোদল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল হাজী, সাবেক যশোদল ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক ছাদির, জাহেদ মিয়া, নারীনেত্রী বিলকিস বেগম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল গণি ঢালী লিমন, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।