নোবেল পেল ‘মূত্রত্যাগের সময়সীমা’!
বড় আকৃতির স্তন্যপায়ী প্রাণী মূত্রত্যাগ করার জন্য কাছাকাছি পরিমাণ সময় ব্যয় করে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী গবেষণা করে এ তথ্য আবিষ্কারের জন্য পেয়েছেন এ বছরের ইগ নোবেল পুরস্কার। তারা বের করেছেন ‘মূত্রত্যাগের সর্বজনীন সময়সীমা’। ইগ নোবেল একটি রম্য পুরস্কার। তবে শর্ত হলো, গবেষণায় থাকতে হবে নতুনত্ব। পুরস্কারটি দেয়া হয় সত্যিকারের বিজ্ঞানীদেরই। তবে গবেষণা হতে হবে এমন বিষয়ে, যার কোন প্রকৃত উপযোগিতা নেই। আসল নোবেলকে বিদ্রƒপ করে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে দেয়া হচ্ছে এই পুরস্কার। গবেষকরা ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখান, বড় বড় স্তন্যপায়ী প্রাণী মূত্রত্যাগের জন্য প্রায় একই পরিমাণ সময় ব্যয় করে। তারা এ কাজে ‘তরল গতিবিদ্যা মডেল’ও উপস্থাপন করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, এই প্রাণীরা ২১ সেকেন্ডে ৩ কেজির বেশি তরল শরীর থেকে বের করতে পারে। এ গবেষণায় ইঁদুর, ছাগল, গরু ও হাতি ব্যবহার করে উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে।
এবার সেলফি চামচ!
সেলফি তোলার জন্য একের পর এক তৈরি হচ্ছে নানা অনুষঙ্গ। সেলফি স্টিকের পরে এলো সেলফি জুতো। ওই ক্রেজ কাটতে না কাটতেই এবার বাজারে এলো সেলফি চামচ। সকালের নাস্তা খাওয়ার সময়ের সেলফি তুলতে এই চামচের কোন বিকল্প নেই। কারণ সকালের নাস্তায় সাধারণত কর্নফ্লেক্স খাওয়া হয়। আর কর্নফ্লেক্স খেতে এমন চামচই দরকার।
সেলফি চামচ হলেও এটি আসলে সেলফি স্টিকই। স্টিকের এক প্রান্তে চামচ আর অন্য প্রান্তে রয়েছে সেলফি তোলার সরঞ্জাম। চামচটি ৩০ ইঞ্চি দীর্ঘ। এটিতে রয়েছে একটি রিমোট শাটার বাটন। ওই বাটনে চাপ দিয়েই সারা হয় সেলফি তোলার কাজটি।
যে গ্রামে ১২ বছরের মেয়েরা হয়ে যাচ্ছে ছেলে!
অদ্ভুত ব্যাপার। বারো বছর আগের নাম ফেলিশিয়া, আর এখন জনি। কেবল নাম নয়, পরিবর্তন ঘটেছে তার লিঙ্গেরও। মেয়ে থেকে এখন সে ছেলে হয়েছে। এ ঘটনা আপনার কাছে ব্যতিক্রমী ঠেকলেও ডমিনিক প্রজাতন্ত্রের সালিনাস গ্রামবাসীর কাছে নিতান্তই স্বাভাবিক। কারণ, কেবল জনির ক্ষেত্রেই নয়, বারো বছর বয়সে এসে এমন লিঙ্গ রূপান্তর ঘটছে অনেকেরই। এ সব শিশুর বিশেষ নামও রয়েছে। তাদের বলা হয় ‘গুয়েভেডোসেস’। এর অর্থ ‘১২ বছরে লিঙ্গ’। চিকিৎসকরাও বলছেন, এমন পরিবর্তন হওয়া সম্ভব। সালিনাস গ্রামের এই ঘটনা সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনডক্রিনলজিস্ট ড. জুলিয়ান ইমপারেতো। তিনি গুজব শুনে গ্রামটিতে যান। পরে বিষয়টি তার নজরে আসে। ফেলিশিয়া থেকে পরিবর্তন হওয়া জনি বলেন, আমার মনে আছে আমি লাল জামা পরে থাকতাম। আমি হাসপাতালে নয়, বাড়িতেই জন্ম নিই। তাই আমার পরিবার বুঝতে পারেনি যে আমি ছেলে না মেয়ে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি স্কার্ট পরেই স্কুলে যেতাম। মেয়েদের মতো জামা পরতে আমি কখনই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতাম না। মেয়েদের সঙ্গে খেলতে আমার ভাল লাগত না। আমি সব সময় ছেলেদের সঙ্গে খেলতে চাইতাম।
ড. ইমপারতো তাদের নিয়ে অনুসন্ধান করে পেছনের কারণ খুঁজে বের করেন। তিনি জানান, মানব শরীরের একটি এনজাইমের অভাবের কারণে জেনেটিক পরিবর্তন ঘটে। মাতৃগর্ভেই এই এনজাইমের কারণে ছেলেমেয়ে নির্ধারিত হয়। মাতৃগর্ভে ছেলে হোক বা মেয়ে উভয়েরই গোনাডস নামে একটি হরমোন থাকে, যা দুই পায়ের মাঝে একটি মাংসপিণ্ড সৃষ্টি করে। ড. জুলিয়ান ইমপারতো আরও বলেন, মাতৃগর্ভেই যেটা হওয়ার কথা ছিল, সেটা বারো বছর পরে ঘটেছে। এ সময় তাদের কণ্ঠ ভারি হয়ে যায় এবং পুরুষাঙ্গও চলে আসে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: