নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ১ আগস্ট ॥ কুমিল্লায় যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন গলায় তার পেঁচিয়ে ও নাকে-মুখে বালিশ চাপা দিয়ে নির্মমভাবে মেডিক্যাল কলেজ পড়ুয়া উম্মে আয়মন সুলতানা স্বর্ণা নামের ছাত্রীকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুরকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার নিহতের পিতা বাদী হয়ে আটককৃত শ্বশুরসহ ৬ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল গ্রামে।
মামলার এজাহার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শশীদল গ্রামের ডা. আবদুল খালেকের মেয়ে কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিক্যাল কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্রী উম্মে আয়মন সুলতানা স্বর্ণার (২৪) সঙ্গে এক বছর পূর্বে একই গ্রামের নূরুল ইসলাম ওরফে নান্নু মিয়ার ছেলে জামিল হোসেন ইমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক এনে দেবার জন্য স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। শুক্রবার রাতে স্বামীসহ পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য স্বর্ণাকে হত্যা করে তাকে বিছানার ওপর ফেলে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী নান্নু মিয়াকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে। খবর পেয়ে স্বর্ণার বাবা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশে খবর দিলে থানার এসআই ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ স্বর্ণার লাশ উদ্ধার করে ও আটক নান্নু মিয়াকে থানায় নিয়ে আসে। নিহত স্বর্ণার বাবা বাদী হয়ে তার ঘাতক স্বামী ইমনসহ তার বাবা ও দুই ভাই জাকির হোসেন সুমন ও জাহিদ হোসেন সুজন, দুই ভাবি ফাতেমা বেগম ও তানিয়া আক্তারসহ ৬ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।