স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপে ফেবারিট দলগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে পাকিস্তান। অথচ সেই দলটিই কি না এবার বিশ্বকাপে প্রথম জয় তুলে নিতে অপেক্ষা করেছে ১৪ দিন! বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি। পরের দিনই প্রথম ম্যাচ খেলে পাকিস্তান। সেই থেকে ২ ম্যাচ হারেও। নিজেদের ১৫তম দিনে গিয়ে প্রথম জয়ের দেখা পায় পাকিস্তান। মোহাম্মদ ইরফান (৪/৩০) ও ওয়াহাব রিয়াজের (৪/৪৫) বোলিং নৈপুণ্যে জিম্বাবুইয়েকে ২০ রানে হারিয়ে জয়ের দেখা পায় মিসবাহ উল হকের দল। একইদিনে ইংল্যান্ডকে পাত্তাই দেয়নি শ্রীলঙ্কা। লাহিরু থিরিমান্নের অপরাজিত ১৩৯ ও কুমার সাঙ্গাকারার অপরাজিত ১১৭ রানে ৯ উইকেটের বিশাল জয় পায় লঙ্কানরা।
বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে পাকিস্তানকে ম্যাচটিতে জিততেই হতো। কিন্তু এমন ম্যাচে গিয়েও ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে এলোমেলোই দেখায় পাকিস্তান ক্রিকেটারদের। ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৩৫ রান তোলে। মিসবাহ উল হক (৭৩) ও ওয়াহাব রিয়াজ (৫৪*) হাল না ধরলে বিপদেই পড়ে যেত পাকিস্তান। জিম্বাবুইয়েও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়েই হারে। তবে শুরুতে যে ইরফানের গতির সামনে ল-ভ- হয়ে যায় জিম্বাবুইয়ের ইনিংস, এরপর ওয়াহাব রিয়াজ জিম্বাবুইয়ের ইনিংসই গুড়িয়ে দেন। ৪৯.৪ ওভারে ২১৫ রান করতেই অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুইয়ে। পাকিস্তানও প্রথম জয় পায়। স্বস্তির জয় খুঁজে পায়।
ওয়েলিংটনে আরেক এশিয়ার দল তা-ব চালায়। ইংল্যান্ডকে হতভাগ করে দেয় শ্রীলঙ্কা। ইংলিশরা এ বিশ্বকাপে এমনিতেই নড়বড়ে দল, তাই বলে শ্রীলঙ্কা পাত্তাই দেবে না! জয়ের ভিতই শুরুতে গড়ে ইংল্যান্ড। জয় রুটের ১২১ রানে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩০৯ রান করে ইংল্যান্ড। এ বিশাল রানকে কিছুই মনে করেনি শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানসরা। ১০০ রানে গিয়ে তিলকারতেœ দিলশানের (৪৪) উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর যে থিরিমান্নে-সাঙ্গাকারা ব্যাটিং তা-ব শুরু হয়, ২১২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিই গড়ে ফেলেন এ দুই ব্যাটসম্যান। দুইজনই আবার করেন শতক। শ্রীলঙ্কাও ৪৭.২ ওভারে গিয়ে ১ উইকেট হারিয়ে ৩১২ রান করে ম্যাচ জিতে যায়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: