ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

ঘর থেকে বের না হয়েই লাখপতি হওয়ার সহজ পথ!

প্রকাশিত: ১৭:৪৯, ১৭ জুন ২০২৫

ঘর থেকে বের না হয়েই লাখপতি হওয়ার সহজ পথ!

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সময়ে শুধু একটি পূর্ণকালীন চাকরি দিয়ে অনেকেই জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে পারছেন না। তাই মার্কেট ওয়াচের সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, আমেরিকানদের ৫৪% গত এক বছরে তাদের মূল আয়ের পাশাপাশি অতিরিক্ত আয়ের পথ অনুসরণ করেছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ছে—জেনারেশন জেড-এর ৭১% এবং মিলেনিয়ালের ৬৮% মানুষ সাইড হ্যাসল শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

এই চাহিদার পেছনে অন্যতম কারণ হলো, জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধির কারণে কেবলমাত্র মূল কাজ থেকে আয় করা এখন আর যথেষ্ট নয়। তাই মানুষ তাদের দক্ষতা ও আগ্রহের ওপর ভিত্তি করে নতুন নতুন সাইড হ্যাসল শুরু করছে।

আপনি যদি সাইড হ্যাসল শুরু করতে চান, তবে নিচের ৬টি জনপ্রিয় ক্ষেত্র অবশ্যই দেখে নিতে পারেন:

১. অনলাইন টিউটরিং ও কোর্স বিক্রি
নিজের বিশেষ দক্ষতা বা জ্ঞান অন্যদের শেখানোর মাধ্যমে ভালো আয় করা সম্ভব। অনলাইন শিক্ষা খাত দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এতে অংশ নেওয়া এখন অনেক সহজ। GetResponse, Preply, Tutor Ocean-এর মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে লাইভ ক্লাস দিতে পারেন কিংবা নিজের তৈরি কোর্স বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।

২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা কোম্পানির পণ্য প্রচার করে বিক্রয় থেকে কমিশন পেতে পারেন। এতে আপনার কাজে বিনিয়োগ করা সময় ও পরিশ্রমের সাথে ভালো রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। ClickBank, ShareASale-এর মতো মার্কেটপ্লেস থেকে সুবিধাজনক অফার বেছে নিতে পারেন।

৩. ই-বুক লেখা ও স্ব-প্রকাশনা
আপনার লেখার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে Amazon Kindle Direct Publishing, Gumroad ইত্যাদিতে নিজের বই প্রকাশ করতে পারেন। গল্প, স্ব-সহায়তা, গাইড বা অন্যান্য যে কোনো বিষয়ের উপর ই-বুক লিখে বিক্রি করা যায়।

৪. ফ্রিল্যান্সিং
আপনার বিদ্যমান দক্ষতা অনুযায়ী লেখালেখি, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, মার্কেটিং প্রভৃতিতে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারেন। Upwork, Fiverr, LinkedIn-এর মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম থেকে কাজ পাওয়া সহজ।

৫. ব্লগিং
নিজের অভিজ্ঞতা, চিন্তাভাবনা বা বিশেষ কোনো বিষয়ে ব্লগ লিখে আপনি গুগল অ্যাডস, স্পন্সরশিপ ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। Substack, Medium, Wix-এর মতো প্ল্যাটফর্ম থেকে শুরু করা যায়।

৬. ইউটিউব চ্যানেল চালানো
ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে YouTube Partner Program-এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন থেকে আয় এবং স্পন্সরশিপ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ভালো ভিডিও এডিটিং স্কিল থাকলে দর্শক আকৃষ্ট করা সহজ হয়।

আবির

×