ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

জয় বাংলা স্লোগানে ধাবমান

নিমাই সরকার

প্রকাশিত: ০০:৪৮, ২৯ মার্চ ২০২৪

জয় বাংলা স্লোগানে ধাবমান

জয় বাংলা স্লোগানে ধাবমান

পরনে হাফপ্যান্ট। সারাদিন দল বেঁধে হৈ চৈ করে বেড়াই। আমরা বাগান, বাঁশ বাগানের মধ্য দিয়ে ছুটছি আর ছুটছি। খালের খাড়ির গর্ত থেকে বেতের শীষ দিয়ে মাছ রাঙার বাচ্চা টেনে হাতে নিই। ওদের নরম শরীরে আদর করি আমরা। জল খাওয়াই। টানা হেঁচড়ার মধ্য দিয়ে ওদের জীবন যে বিপন্ন সেদিকে নজর পড়ে না। অন্য এক অনুভূতিতে নিষ্পাপ কৈশোরে আমরা বিভোর সবাই। 
সময়টা একাত্তরের মার্চ। বলাচলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তখন ‘স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার’ কার্যকর। ধানম-ির বত্রিশ নম্বর বাড়ি থেকে তিনি আদেশ দিতেন। আর সারাদেশের মানুষ সেটাই অনুসরণ করতো। এরই মধ্যে মুজিব-ইয়াহহিয়া আপোস আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পরই ইয়াহিয়া ঢাকা ত্যাগ করেন। আর ওই রাতেই নিরস্ত্র বাঙালির ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
ওরা গুলি করে, অগ্নিসংযোগ করে। ঘাতকরা বলে, হিন্দুরা কাফের। হত্যার নীল নকশা ওদের হাতে। এই পর্যায়ে জানমালের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য টাকা সোনার দরবার চলতে থাকে। দূর গ্রাম তালমার এই কথাগুলো কারও অজানা থাকে না। আমাদের গ্রামও কি এমন খপ্পরে পড়বে? কে জানে, ভয় সবার মনে।
আমরা রথখোলায় ফুটবল খেলি। এক সময় এতে ছন্দ পতন ঘটে। এমনটি অন্যদিন ঘটে না। মাঠের মধ্য দিয়ে এক তরুণ যাচ্ছিলেন। তার গায়ে এসে পড়ে বল। বিষয়টি ছিল অপ্রত্যাশিত। তরুণ দাঁড়িয়ে পড়েন। প্রথম ভাগে মৃদু অভিযোগ আনেন তিনি। 
সম্মানী লোকের আত্মীয় বলে কথা। দ্বিতীয়ত: সময় এখন বিপক্ষে। দেশ গাঁয়ের অবস্থা ভালো নয়। বিষয়টির মীমাংসা হলো। তরুণ হাসিমুখে বিদায় নিলেন। কিন্তু তখন চিন্তার ভাঁজ ফেললো কারও কারও কপালে। আমাদের সবাইকে বড়োরা সাবধান করে দিলেন। আমরা ঘরে ফিরলাম। পথে বলাবলি হলো, খুব তাড়াতাড়ি পাক সেনারা থানা পর্যায়ে চলে আসছে।
কয়েক দিনের মধ্যে সত্যি সত্যি পাক সেনাদের বহর এলো ভাঙ্গায়। আসার সময় জলপাই রঙের গাড়ি থেকে ওরা গুলি ছুড়ল যত্রতত্র। শত সহস্র মানুষ পালাল দিগি¦দিগ। এরই একটি স্রোত এলো আমাদের এলাকায়। চাঁদহাট গ্রাম ভরে টইটুম্বুর হলো আমাদেরই আত্মীয়স্বজনে।
মাদুরের মতো বিছানো একটানা বাড়ি। নদীর পারে একই সমতলে ঘরগুলো দাঁড়িয়ে দুইদিকে। মাঝে অবশ্য আড়াআড়ি ঘর আছে কোথাও। মাঝের জায়গায় ওঠা বসা মানুষের। বসার স্থান, শোয়ার জায়গায় টান পড়ে। ভরসার কথা অতটুকুই, মনটাতো আর ছোট নয়। এদিকে বাজার ঘাট করতে সবাই উৎসাহ পায় না। কোথা থেকে কে কোনো ঝামেলায় পড়ে! জাও ভাতের আয়োজন হয়। প্রায় সবার বাড়িরই একই দশা। তবে তেমন চাওয়া-পাওয়া নেই কারো। এর মধ্যে এই নিয়েই সন্তুষ্ট সবাই।
বাড়ির পাশে কলঘর। ওই ঘরেই তখনকার দিনের বিকো মেশিনের রাইস মিল। এখানে গম ধান ভাঙাতে আসতো কাছে দূরের মানুষ। ওপরে বাঁধা ঘটিতে ধুপ ধুপ শব্দ হতো। ও ছিল কারও কারও কাছে এক আতঙ্কের নাম। কখন কোন দিক থেকে সেনারা চলে আসে তাতো এই শব্দে বুঝা যাবে না, এমনি ধারণা। এসব বিচ্ছিন্ন ভাবনার ফসল। রাইস মিল চলে, মানুষও বসে বসে ভয়ের ধারাপাত পড়ে। 
কাকাদের ছিল ফিলিপ্স রেডিও। বড়ো আকারের এই রেডিও নাকি বিশাল তল্লাটে আর একটি ছিল। সকালে অনেক মানুষ বসে সংবাদ শুনতো। আকাশ বাণীর নীলিমা সান্যাল, অনিল চট্টোপাধ্যায়, ইভা নাগ সবার আকর্ষণ কাড়তেন। বিপদকালে ভারত আসবে পাশে, এমন আশা করেন কেউ কেউ। কিন্তু তেমনটি আসে না সংবাদে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ ভৌমিক বলেন, সময় গেলে বুঝা যাবে। আশা নিরাশার দড়ি টানাটানি হয়। ফল এক জায়গায় থেমে থাকে।
ইতোমধ্যে নগরকান্দা থানা সদরে পাকিস্তান সেনা এসে গেছে। কোদালিয়া গ্রাম জ্বালিয়ে ছারখার করেছে তারা। সেখানে ভগ্ন স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আর্তনাদ করে এক কুকুর। অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দেয় মা বাবার লাশের ওপর। একি রক্তগঙ্গা? এক বাড়িতে ঢুকে ১৮ জনকে হত্যা করে তারা। কিছুদিন আগেই ফরিদপুরের শ্রীঅঙ্গন আশ্রমে ঘটেছিল নারকীয় ঘটনার একটি। পাক হানাদাররা গুলি করে মারে ৮ জন সংসারত্যাগী সন্ন্যাসীকে। প্রথম দিকে ওদের আক্রোশ সনাতন ধর্মীদের ওপরই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু অল্প দিনেই এর উত্তাপ ছড়িয়ে গেল সবখানে। রেহাই পেলো না মুসলমান সম্প্রদায়। হতভম্ব হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। 
জানমাল কোনো কিছুর নিরাপত্তা নেই। খাবার চাল তার সঙ্গে অতি প্রয়োজনীয় কিছু শস্য পণ্য, কাঁসা পিতলের কিছু পাত্র রাখা হয় নৌকায়। অনেকটা ধরা ছোঁয়ার বাইরে মনে করে সেসব পাঠিয়ে দেওয়া হয় কাটা খালের মাথার একটি বাড়িতে। ওই বাড়ির মালিক দলিলউদ্দিন মিয়া। ওই বাড়ির সঙ্গে আমাদের পরিবারের ভালো সম্পর্ক, যা এখনো বহমান। খোঁজ পেয়ে এক সকালে খোকন মিয়াসহ ছয় রাজাকার আসে সেখানে। 
রাজাকাররা এসেছিল সোনা দানার আশায়। কিংবা তারা এও মনে করতে পারে, হিন্দুকে খতম করার মোক্ষম সুযোগটিও জুটবে একই সঙ্গে। কিন্তু শিকার মেলে না। তারা পায় কেবল দলিলউদ্দিন মিয়া এবং সহোদর মোতালেব মিয়াকে। ঘটনা যা ঘটবার তাই ঘটে। তারা নাস্তানাবুদ হন রাজাকারদের রাইফেলের বাঁটে। সত্যটা এমন, তারা খুব কৌশলে ঐদিন আমাদের বাড়ির সদস্যদের রক্ষা করেন। এরপর কী আর করার থাকে রাজাকারদের! খানিক হম্বিতম্বি করে ওরা স্থান ত্যাগ করে।
খবরটি কম বেশি জানাজানি হয়। গ্রামবাসী সবাই ভাবে ওরা আবার আসবে। 
আতঙ্ক আর উদ্বেগ ছাড়ে না। এক ধরনের প্রতিক্রিয়াও কাজ করে মানুষের মধ্যে। তারা অভয় বাণী শোনায় প্রিয় গ্রামকে। মা..গো ভাবনা কেন/আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে/তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি/তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি। ভেতরে গৌরী প্রসন্ন মজুমদার কথা কয়। 
গজারিয়া আর চাঁদহাট, এক বৃন্তে দুটি ফুল। কাল হামলা করেছে প্রথমটিতে। আর আজ রাজাকাররা আসে চাঁদহাটের বণিকপাড়ায়। রাজাকার জাফর মিয়া আসে বিশাল সাজে। লুটপাট করে নেবে তামাম সম্পদ। ছিন্ন ভিন্ন করে খাবে ‘মানুষ আর প্রাণের মাংস’। কিন্তু কোনো ছাড় নয়, সাধারণ মানুষ বেরিয়ে পড়ে। তাড়া দেয় তাৎক্ষণিক। শত্রুরা সদরমুখী হয়ে দৌড়ায়... আর দৌড়ায়।
বাস্তবতা এটাই, ওরা সংগঠিত। নীল নকশা তৈরি ওদের। ফার্স্ট ফ্রন্ট, সেকেন্ড ফ্রন্ট, থার্ড ফ্রন্ট। প্রথম দুই দফায় পিছু হটেছে, এবার তৃতীয় দফা। পাক সেনারা এলো। বিপুল প্রস্তুতি তাদের। তারা নামবে গ্রামে। তাদের মেশিন গান খৈ ফোটাবে। কিন্তু জলপাই রঙের গাড়ি এখানে অচল। রাস্তা বেয়ে বেয়ে দৌড়াচ্ছে। হানাদাররা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়বে সারা তল্লাট। নষ্ট করবে সামনের গ্রাম। মেতে উঠবে হত্যায়। 
পাক সেনারা ঘোনাপাড়ার গাঙলি এসে থেমে যায়। তখন ছোট্ট এ খালটি পার হওয়ার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। ওদিকে ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিত হয় শত কণ্ঠে। লাঠি সোটা নিয়ে বেরিয়ে পড়ে জবদুল মিয়া, বর্ষায় কুমার-এর দক্ষ মাঝি। পেছনে হাঁক দেয় পুব পাড়ার মজিদ মিয়া। সাধারণের কল্পনায় আসে ‘কানফরদির সুলতানা রাজিয়া’। যার নামে গল্প নির্মিত হয়, যিনি গৃহিণী হয়েও নামেন একাত্তরের রণাঙ্গনে। 
রাজাকার জাফর মিয়া ধরা খায়। তার দল কোথায় সটকে পড়ে, সে খবর আর কে রাখে! সবার মূল লক্ষ্য জাফর। ঐদিন সড়কি, ফুলকুচির খোঁচায় বিদীর্ণ হয় তার দেহ। তাকে মেরে পাটপাট করে ফেলে ওই ক্ষিপ্ত মানুষ। এক পর্যায়ে কলাগাছ এনে দেয় মুন্সী আবুবকর। বয়োজ্যেষ্ঠরা রোষানল থেকে আড়াল করতে পারে না প্রতীকী জাফরকেও।
হানাদাররা দিগি¦দিগ হয়ে পড়ে। কেউ নামে পাট খেতে কেউবা ধানের জমিতে। কিন্তু বোরো ধানের গোড়ায় তো এক হাঁটু কাদা। মেশিনগান বসায়। তাক করে বৃষ্টি ঝরাতে যায়। তবে তার আগেই সে সুযোগ পায় না এই পাক সেনা। মোসলেম মাতুব্বরের লাঠির আঘাতে চৌচির হয়ে যায় পাক সেনার মস্তক। মোসলেম আনন্দে নেচে ওঠেন। লম্বা টানে মুখে উচ্চারণ করেন, জয় বাংলা। চতুর্দিকের সবার কণ্ঠ এক হয়ে ফেটে পড়ে। আকাশ বাতাস এক হয়ে যায়। এ ও বুঝি জাতির পিতার বজ্রকণ্ঠ, জয় বাংলা।... মুহুর্মুহু সেøাগানে কেঁপে ওঠে প্রান্তর। কেউ একজন একটু আটসাট হয়ে বলে, টিক্কা খানকে কোতল করলাম। ওদের কাছে খান সেনাদের যে কেউই বুঝি টিক্কা খান! সেদিন একজন নয় ৩৪ জনের প্রাণ সাবাড় করে দেশী অস্ত্রের এই মানুষগুলো। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র খবরটি প্রচার করে। এলাকাবাসী উজ্জীবিত হয়।
এখন কী হবে? হানাদাররা কী বসে থাকবে? ওরা যারা থানায় আস্তানা নিয়েছে, চতুর্গুণ শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে নিরীহ মানুষের ওপর। তবে আপাতত কিছুটা শক্তি যে খুইয়েছে তাতো ঠিক! এরই মধ্যে বিস্ময়কর এক ঘটনা ঘটে যায়। সাবেক ইস্ট পাকিস্তান রেজিমেন্টের সদস্য আজিজ মোল্লা তরুণদের নিয়ে থানার অস্ত্রপাতি সব কেড়ে নিয়ে আসেন। রবীন্দ্রনাথ বেজে ওঠেন। তুমি যে সুরের আগুন লাগিয়ে দিলে মোর প্রাণে,/এ আগুন ছড়িয়ে গেল সব খানে॥
সবার মুখে চাপা হাসি, সংযত আনন্দ। তার কারণ এইযে, বয়োজ্যেষ্ঠরা বলেন, ভিমরুলের চাকে ঢিল মারা হয়েছে। ওরা এখন স্থল নয় শুধু, আকাশ পথেও হামলা চালাতে পারে। 
আমাদের কঞ্চি দিয়ে বানানো ফলফুটুনি নিয়ে বেরুনোর কথা। কিন্তু ওই বয়সেও হাঁটু আর চলে না। দৃষ্টিনন্দন আমজুম ফল গাছেই রয়ে যায়। পেকে সবুজ থেকে লাল আর লাল থেকে কালো রং নেয়। আমরা শুধু মহড়া করি কিন্তু এই ফল ফোটাতে পারি না। দূর গ্রাম থেকে যারা নিরাপদ মনে করেছিল এই গ্রামটা তারাও যে যেদিক পারে সরে পড়ে।
আবার সত্যি সত্যি তাই হয়। ওরা হানা দেয়, একাত্তরের বর্গী ওরা। মানুষ ওদের কাছে সংখ্যা আর তাদেরই অর্জন হেলার বস্তুমাত্র। আকাশ থেকে ওরা খাদ্য নামায়। বাঙালি নিধনে প্লাটুন প্লাটুন সৈন্য আসে। হানাদাররা জ্বালায়, পোড়ায়, তছনছ করে ফেলে নিরীহ মানুষের জীবন। ওরা দখল নেয়। 
গ্রামপ্রেমীরা, দেশপ্রেমীরা কেবল আর্তনাদ করে। জগৎবাসী বাংলাদেশকে যাও দেখিয়া...। এ আকুতি মাটি মানুষের জন্য। 
পাক হানাদাররা কত সময় আর থাকবে! কেবল আসে আর যায়। আওয়ামী লীগের সোলায়মান আলী তখন টগবগে যুবক। তিনি এলাকার তরুণদের সংগঠিত করেন। আর আজিজ মোল্লা প্রশিক্ষণ দেন। একেকজন তরুণ হয়ে ওঠেন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা। 
আমার পরনে সেই হাফপ্যান্ট। এবার গায়ে জড়িয়েছি জামা। যা প্রায়শই থাকে না। দলে আমরা তিন চারজন। চাঁদহাট বাজারের অদূরে তরুণদের প্রশিক্ষণ চলছে। আমি দূর থেকে দেখি আমার সোলায়মান আলী স্যারকে। তিনি নির্দেশনা দিচ্ছেন অন্যদেরকে। তাঁরা গোল হয়ে দাঁড়িয়ে তখন। আমি শুধু দেখি... আরও একটু এগিয়ে দেখার চেষ্টা করি। সামনে যাই না। দ্বিতীয় মন বলে, যদি দেখা হয়...তাহলে কেমন হবে! অতঃপর দেখা হওয়া না হওয়ার দোলাচলে আমি তাড়াতাড়িই পেছনের দিক চলে আসি। 
বৈশাখ জ্যেষ্ঠ মাসের কথা। দেশ কবে মুক্ত হচ্ছে তা তখনো স্পষ্ট নয়। তবে আমরা মুক্ত, আমাদের ‘জয় বাংলা’ এলাকা শত্রুমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে আরও আগে।
প্রশিক্ষণ হয় তীর্থভূমিতে, চাঁদহাট সে নাম। মনি মুক্তার মতো খুঁড়ে বের করা হয় এর প্রাণকেন্দ্র। নাম রাখা হয় ‘জয় বাংলা’। চাঁদহাট, গজারিয়া, কুমারদিয়া, দহিসারা, দুলালী, বাগাট, রাখালগাছি, দামদরদি, আসফরদি, শ্রীবরদি- গ্রাম কিংবা একগুচ্ছ ফুলের নাম। এরই সাধারণ নাম ‘জয় বাংলা’। অর্থ : আমাদের নাম-পরিচয় ‘জয় বাংলা’। আমাদের আপন ঠিকানা ‘জয় বাংলা’। আমরা ‘জয় বাংলা’ সেøাগানে ধাবমান।

×