
ছবি: সংগৃহীত
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের আকস্মিক হামলার পর টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে পারস্য উপসাগর জুড়ে। এরইমধ্যে তেহরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে, বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এমন সম্ভাবনায় নড়েচড়ে বসেছে পুরো বিশ্ব। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এতে মারাত্মক আঘাত আসতে পারে জ্বালানির সরবরাহ চেইনে, বাড়তে পারে তেলের দাম, আর তাতে ধাক্কা খেতে পারে বিশ্ব অর্থনীতি।
ইরানের পার্লামেন্ট ইতোমধ্যেই হরমুজ প্রণালী বন্ধের একটি প্রস্তাব পাস করেছে। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ, তবে বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এক কমান্ডার জানিয়েছেন, "হরমুজ প্রণালী বন্ধের বিষয়টি আমাদের এজেন্ডায় রয়েছে, প্রয়োজনে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।"
বিশ্ববাজারে সরবরাহ হওয়া মোট তেল ও গ্যাসের প্রায় ২০ শতাংশই পরিবহন করা হয় হরমুজ প্রণালী দিয়ে। প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি ব্যারেল জ্বালানি পণ্য এই পথ দিয়ে পারস্য উপসাগর থেকে আরব সাগরে যায়। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো প্রধান তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো এই রুটের ওপরই নির্ভরশীল। সেক্ষেত্রে হরমুজ বন্ধ হলে তা বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে বড় ধাক্কা দিতে পারে।
এদিকে ইরানে হামলার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে এখন ওয়াশিংটন আলোচনার চেষ্টা করছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রকাশ্য ও গোপন উভয় চ্যানেলেই তেহরানের সঙ্গে বার্তা চালাচালি চলছে, তবে এখনও কোনো সাড়া মেলেনি ইরানের পক্ষ থেকে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই উত্তেজনা শুধু মধ্যপ্রাচ্যে নয়, গোটা পৃথিবীর জ্বালানি নিরাপত্তা ও অর্থনীতিকে গভীর সংকটে ফেলতে পারে।
আসিফ