
ছবি: সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। ইরান রবিবার জানিয়ে দিয়েছে, তারা অঞ্চলজুড়ে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোকে সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচনা করছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা ইরানের পরমাণু কর্মসূচি লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে, যা 'ধ্বংসাত্মক' ছিল। যদিও কিছু পশ্চিমা কর্মকর্তার মতে, হামলার প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই আগ্রাসন কেবল ইরান-ইসরায়েল সংঘাতকেই নয়, বরং সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে সংঘর্ষকে আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে।
উচ্চ ঝুঁকির প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর রোববার আমেরিকান নাগরিকদের জন্য 'ওয়ার্ল্ডওয়াইড কশন' বা বিশ্বব্যাপী সতর্কতা জারি করেছে। বিদেশে বসবাসরত বা ভ্রমণরত মার্কিন নাগরিকদেরকে বলা হয়েছে, তারা যেন অতিরিক্ত সচেতনতা অবলম্বন করেন এবং স্থানীয় নিরাপত্তা নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করেন।
এই মাসের শুরুতেই ইসরায়েল ইরানে বিস্তৃত বোমা হামলা শুরু করে, যার জবাবে ইরানও একাধিক পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। বর্তমানে এই দ্বন্দ্ব সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রকে ঘিরে জটিল আকার নিচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান যদি সত্যিই মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায়, তাহলে এটি একটি সম্পূর্ণ নতুন যুদ্ধ অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে, যেখানে একাধিক দেশ জড়িত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি শান্ত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কূটনৈতিক সমাধানের কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে। এমন অবস্থায় বিশ্বনাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে মার্কিন নাগরিকদের প্রতি বাড়তি সর্তকতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
শিহাব