ছবি: সংগৃহীত
১৯৯৭ সালে প্যারিসে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রিন্সেস ডায়ানা ও তার প্রেমিক দোদি আল ফায়েদের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বহু বছর ধরে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ঘুরে বেড়াচ্ছে। সম্প্রতি The Telegraph–এর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু সম্পর্কে গোপন তথ্য জানতে মিশরের গোয়েন্দা সংস্থাকে কোটি কোটি টাকা দিয়েছিলেন ধনকুবের মোহাম্মদ আল ফায়েদ।
হারডসের সাবেক মালিক আল ফায়েদের ছেলে দোদি এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। এরপর থেকে তিনি বিশ্বাস করে আসছিলেন যে, ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা ইচ্ছাকৃতভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে, কারণ ব্রিটিশ রাজপরিবার মেনে নিতে পারছিল না যে এক মিসরীয় নাগরিক হতে পারে ভবিষ্যতের রাজপুত্রের সৎ বাবা।
গুপ্তচরদের কাছে কী জানতে চেয়েছিলেন আল ফায়েদ?
প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনে অবস্থানরত মিশরীয় গোয়েন্দাদের কাছে দীর্ঘ এক দশক ধরে গোপনে অর্থ পাঠিয়ে আসছিলেন তিনি। এই টাকা গিয়েছিল বিভিন্ন গোপন কোম্পানির মাধ্যমে। উদ্দেশ্য ছিল—ব্রিটিশ রাজপরিবার ও গোয়েন্দা সংস্থার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া।
এক পর্যায়ে, তিনি মিশরীয় গোয়েন্দাদের বলেন যে, “ব্রিটিশ গোয়েন্দারাই আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।”
তবে ব্রিটিশ পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার স্যার জন স্টিভেন্স তার তিন বছরের তদন্ত ‘অপারেশন প্যাগেট’-এ স্পষ্ট করে জানান, “ডায়ানা ও ডোডির মৃত্যু ছিল নিছক একটি দুর্ঘটনা।”
গাড়ির চালক হেনরি পল অতিরিক্ত মদ্যপান করেছিলেন এবং গতি ছিল অত্যধিক—এই কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে বলে তদন্তে উঠে আসে।
আল ফায়েদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ
মৃত্যুর আগের বছর, ১০০-র বেশি নারী আল ফায়েদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন, যার মধ্যে বহু ঘটনা ১৯৭০-এর দশক থেকে শুরু হয়। বিবিসি ‘Al-Fayed: Predator at Harrods’ নামে একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ করে, যেখানে দেখানো হয় কিভাবে হারডস কর্তৃপক্ষ অভিযোগগুলো গোপন করতে সহায়তা করেছিল।
এক নারী জানান, “আমি স্পষ্ট করেছিলাম যে আমি সেটা চাই না। আমি সম্মতি দিইনি।”
মুমু ২
