
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন ভূখণ্ডে এবং বিশ্বজুড়ে ইরানের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুলসংখ্যক সেনা মোতায়েন থাকায় অঞ্চলজুড়ে নিরাপত্তা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেও হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান ও তাদের মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সাইবার হামলার ক্ষমতা রয়েছে। তারা দূর থেকে যেকোনো সময় আক্রমণ করতে পারে। তাই সম্ভাব্য সাইবার হুমকিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ (DHS) একটি সতর্কবার্তা জারি করেছে। তারা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও আর্থিক খাতের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের কম্পিউটার সিস্টেমের নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো, ইরান থেকে আসা সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণ প্রতিহত করা।
এছাড়াও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, ইরানের পক্ষে কাজ করতে পারে—এমন কিছু গোপন কর্মী যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই সক্রিয় থাকতে পারে। অতীতেও একাধিক ইরানি এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা ভিন্নমতাবলম্বী ইরানিদের ওপর নজরদারি ও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছিল।
মার্কিন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের সাধারণ জনগণের মধ্যেও প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন। তাই কেবল সাইবার হামলাই নয়, সব ধরণের প্রতিশোধমূলক তৎপরতার দিকেই সতর্ক দৃষ্টি রাখছে নিরাপত্তা বাহিনী।
ঘটনাপরম্পরা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে হোয়াইট হাউজ থেকে শুরু করে গোয়েন্দা সংস্থা পর্যন্ত সবার নজর এখন ইরানের সম্ভাব্য সাইবার হামলা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সক্রিয় কোনো গোপন নেটওয়ার্ক বা ব্যক্তি বিশেষের প্রতিক্রিয়ার দিকেই।
সূত্র: এবিসি নিউজ
এম.কে.