
ছবি: সংগৃহীত
উত্তর গাজার ধ্বংসস্তূপে পরিণত এলাকায় সন্ধ্যা নামতেই নেমে আসে মানুষের স্রোত। তাদের সবার চোখে একটাই আশা—এক বস্তা আটা। কিন্তু কেউ জানে না, সেই ট্রাক আদৌ আসবে কি না। হয়তো আসবে, হয়তো আসবে না। তবুও অপেক্ষা করতে হয়। কারণ এই সুযোগ তারা হাতছাড়া করতে পারে না।
ইসরায়েল সম্প্রতি সীমিত পরিমাণে আটা প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে উত্তর গাজায়। কিন্তু সেসব ত্রাণসামগ্রী কীভাবে বিতরণ হবে, তার কোনো নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেই। ফলে মানুষজন বাধ্য হয়ে ট্রাক থেকে নিজেরাই সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে।
গাজা সিটির স্থানীয় বাজারে এখন প্রায় কোনো খাদ্য নেই। দক্ষিণ গাজার কিছু খামার থেকে যে সামান্য সবজি আসে, তা এতটাই দামি যে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। মাত্র দুটি টমেটোর দাম ৮ ডলার পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, ‘‘আমরা না খেয়ে মরি, অথবা খাদ্যের সন্ধানে বেরিয়ে গুলিতে প্রাণ দিই।’’
এই মুহূর্তে গাজায় বেঁচে থাকার লড়াই মানে এক অন্ধকার গলিতে ঢুকে পড়া—যেখানে প্রান্তে হয়তো একটা রুটি আছে, আবার হয়তো সেখানে অপেক্ষা করছে মৃত্যু।
শেখ ফরিদ