ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

৫ লক্ষের বেশি আমেরিকান সম্প্রতি কোটিপতি হয়েছেন—জানুন কীভাবে!

প্রকাশিত: ০৯:৫৭, ১০ জুন ২০২৫

৫ লক্ষের বেশি আমেরিকান সম্প্রতি কোটিপতি হয়েছেন—জানুন কীভাবে!

ছবি: সংগৃহীত

স্টক মার্কেটের চমকপ্রদ উত্থান, বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতে বড় বিনিয়োগ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) ভবিষ্যৎ সম্ভাবনায় ভর করে অনেক অবসরের সঞ্চয়কারী কোটিপতিতে পরিণত হয়েছেন। পাশাপাশি, ধনী আমেরিকান বিনিয়োগকারীরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের ধনীদের তুলনায় দ্রুত সম্পদ গড়ে তুলছেন—এমন তথ্য উঠে এসেছে দুটি নতুন প্রতিবেদনে।

ফিডেলিটি ইনভেস্টমেন্টসের একটি নতুন অবসর পরিকল্পনা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে আমেরিকায় ৫ লাখ ১২ হাজার মানুষ ৪০১(কে) কোটিপতি হয়েছেন, যাদের গড় অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স ১.৬ মিলিয়ন ডলার। যদিও এই সংখ্যা বছরের শুরুতেই বাজারে ওঠানামার কারণে প্রায় ৫% কমে গেছে, তবুও এটি গত পাঁচ বছরের তুলনায় বিশাল বৃদ্ধি।

শুধু সচ্ছল নয়, স্টক মার্কেটের এই উত্থানে ধনকুবেররাও বিপুল সম্পদ বাড়িয়েছেন। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যাপজেমিনির একটি বার্ষিক বৈশ্বিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাদের বিনিয়োগযোগ্য সম্পদ ১০ লাখ ডলারের বেশি—এমন 'উচ্চ সম্পদধারী ব্যক্তি'রা ২০২৪ সালে দারুণ সফলতা পেয়েছেন।

বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ধনী বিনিয়োগকারীরা উল্লেখযোগ্য লাভ করেছেন। ২০২৪ সালে এদের সংখ্যা প্রায় ৮% বেড়েছে এবং মোট সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৯%। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের কোটিপতির সংখ্যা ৭.৯ মিলিয়ন বলে মনে করছে ক্যাপজেমিনি।

যদিও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের ধনীরাও সম্পদ বাড়িয়েছেন, তবুও আমেরিকান ধনীরা তুলনামূলকভাবে বেশি লাভবান হয়েছেন। বৈশ্বিকভাবে, ২০২৪ সালে উচ্চ সম্পদধারী ব্যক্তির সংখ্যা ২.৬% বেড়েছে এবং মোট সম্পদ বেড়েছে ৪.২%।

প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিনিয়োগের উল্লাস ২০২৪ সালে বড় ধরনের স্টক মার্কেট লাভ এনেছে—এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ২৩% ও প্রযুক্তিনির্ভর নাসডাক সূচক ২৯% পর্যন্ত বেড়েছে। এই লাভের পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে তথাকথিত "ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন" কোম্পানিগুলো—অর্থাৎ গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট, অ্যামাজন, অ্যাপল, মেটা, মাইক্রোসফট, এনভিডিয়া ও টেসলা।

তবে সবচেয়ে বেশি লাভ হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনীদের ক্ষেত্রে।

যাদের হাতে বিনিয়োগযোগ্য ১০ লাখ থেকে ৫০ লাখ ডলার আছে—তাদের জনসংখ্যা ২.৪% ও সম্পদ ২.৬% বেড়েছে। অন্যদিকে, যাদের সম্পদ ৩০ মিলিয়ন ডলারের বেশি—তাদের সংখ্যা বেড়েছে ৬.২% এবং সম্পদ বেড়েছে ৬.৩%।

ক্যাপজেমিনি জানায়, সুদের হার কমে যাওয়া এবং আগ্রাসী বিনিয়োগ কৌশল এই ধনীদের আরও ধনী করে তুলেছে। এমন প্রবণতা ২০২৫ সালের শুরুতেও অব্যাহত রয়েছে। এই বিত্তশালীরা শেয়ারবাজারে আরও বেশি ঝুঁকি নিয়েছেন এবং তুলনামূলক নিরাপদ বন্ডের মতো বিনিয়োগ কমিয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া, তাদের মোট সম্পদের ১৫% রাখা হয়েছে ডিজিটাল সম্পদে—যেমন ক্রিপ্টোকারেন্সি। তারা ধারণা করছেন, ট্রাম্প প্রশাসন বিটকয়েন ও ক্রিপ্টো-ভিত্তিক ফান্ডের পক্ষে ইতিবাচক নীতিমালা আনতে পারে।

আবির

×