ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

চীনা নৌশক্তির উত্থান ঘটাবে ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২১ এপ্রিল ২০১৮

 চীনা নৌশক্তির উত্থান ঘটাবে ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড

চীনের নেতারা বিশেষ করে ভারত মহাসাগরে ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়ে তাদের একটি বাণিজ্যিক বেল্ট ও রোড ও একটি সুখী নৌবাহিনী প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ বলে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। কারণ, তাদের মতে, সংশ্লিষ্ট উভয়পক্ষের বাণিজ্যিক কর্তব্যকর্ম বলতে বিশ্বের কোন অনুন্নত অংশে আধুনিক অবকাঠামো ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসাকেই বোঝায়। ভারত মহাসাগরে বেজিংয়ের এক ডজনের বেশি বন্দর গড়ে তোলার বিষয়টি হচ্ছেÑ চীনের রাজনৈতিক প্রভাব সৃষ্টিতে এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্ব আফ্রিকা পর্যন্ত এর সামরিক উপস্থিতির সম্প্রসারণে রাষ্ট্র পরিচালিত একটি উদ্যোগ। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক নতুন সমীক্ষায় বিষয়টি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ফরেন এ্যাফেয়ার্স সামনের সারির মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর সঙ্গে সত্যিকার সমস্যা তার লোকরঞ্জনবাদ নয়; তা হচ্ছে তার পুরনো ধ্যানধারণা। সিফোর এডিএম পরিচালিত রিপোর্টটিতে বলা হয়, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ১৫টি বন্দর চুক্তি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে, চুক্তিগুলোর অর্থনৈতিক দিক প্রশ্নের উদ্রেক করে। রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণে প্রায় পুরোটা এবং অন্যতম মূল বিষয়টি হচ্ছে বাণিজ্যিক কর্মকা-ের ছদ্মাবরণে চীনের নৌবাহিনীকে সুদূরপ্রসারী সরঞ্জামাদি সরবরাহে সমর্থনে সুযোগ প্রদান। রিপোর্টের অন্যতম সহ-লেখক ডেভিন বর্নি বলেছেন। বন্দরগুলোতে যে প্রবণতা আমরা দেখতে পাচ্ছি তা ইঙ্গিত দেয় যে, চীন উভয়পক্ষের বাণিজ্যে কল্যাণকর অভিপ্রায় সমুন্নত রাখছে না। কিন্তু একটা অন্য অভিসন্ধি অনুসরণ করছে দেশটি। অন্য এক সহ-লেখক বেন স্পেভ্যাক বলেছেন, কম্বোডিয়া থেকে পাকিস্তান পর্যন্ত একই ধরনের কয়েকটি প্রকল্প বিষয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হচ্ছে যে, বেজিং রাজনৈতিক ও সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবসা ঘাঁটিগুলো ব্যবহার করছে। অঞ্চলে বন্দর নির্মাণের সঙ্গে জড়িত এক সামরিক কর্মকর্তা চীনা বিশ্লেষকের উদ্ধৃতি দিয়ে রিপোর্টে বলা হয়, চীন সরকার ভারত মহাসাগরে টহলরত চীনা যুদ্ধ জাহাজগুলোকে সরঞ্জাম সমর্থন যোগানোর লক্ষ্যে একটি নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলো ও রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করছে। চীনের যুদ্ধজাহাজগুলো এরমধ্যে বাণিজ্যিক বন্দরগুলোর দ্বিমুখী ব্যবহার সম্ভাবনার সুবিধে নিচ্ছে। চীনাভাষী এক নিবন্ধে বলা হয়, আমরা সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক লোকদের সংহতি গভীর করেছি, বলেছেন এক অজ্ঞাত চীনা কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার। জাহাজের এ ক্যাপ্টেন বলেন, যেখানেই চীনা কোম্পানি রয়েছে সেখানেই যুদ্ধজাহাজের জন্য উন্নত পরিবহন নিরাপত্তা থাকছে। কেবল থাইল্যান্ডেই নয়, কথিত ম্যারিটাইম সিল্ক রোড যখন গড়ে উঠছে তখন চীনা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কম্পোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালাক্কা প্রণালী, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও জিবুতিতে বন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে। মার্কিন প্যাসিফিক কমান্ডের প্রধান এডমিরাল হ্যারি হ্যারিস এ বছরের প্রথমদিকে কংগ্রেসকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, চীনের নৌবাহিনীর উপস্থিতি ও প্রভাব বেল্ট ও রোড ইনিশিয়েটিভসৃষ্ট বাণিজ্যিক নেটওয়ার্কে বিভিন্ন অংশে ধন্যবাদ কুড়াচ্ছে। সিএনএ’র সিনিয়র ফেলো যুক্তরাষ্ট্রের অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার এডমিরাল মাইক ম্যাকডেভিট বলেছেন, চীন ঘাঁটি নির্মাণ নয়, স্থান তৈরি কৌশল অনুসরণ করছে। -ওয়েবসাইট
×