
তারিক আনাম খান, ফারহান আহমেদ জোভান ও কেয়া পায়েল
একজন নীতিবান শিক্ষক ও তার প্রতি এক আদর্শ ছাত্রের সম্মান প্রদর্শন করার গল্প নিয়ে ঈদের নাটক তৈরি করেছেন তপু খান। আকবর হায়দার মুন্নার গল্প অবলম্বনে নাটকটির চিত্রনাট্য লিখেছেন লিমন আহমেদ। এই নাটকে শিক্ষকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান। তার ছাত্রের ভূমিকায় আছেন ফারহান আহমেদ জোভান। জোভানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন কেয়া পায়েল।
নাটকটি প্রচারের পর এরইমধ্যে ৫ লাখেরও বেশি দর্শক উপভোগ করেছেন। ১৬ হাজারেরও বেশি লাইক পড়া নাটকটিতে একটিও ডিজলাইক নেই। সাড়ে ৯ শতাদিক মন্তব্যের সবই নাটকটির বাস্তবধর্মী গল্প ও প্রধান তিনটি চরিত্রের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বিশেষ করে শিক্ষক চরিত্রে তারিক আনাম খান ও ছাত্রের চরিত্রে জোভানের অভিনয় দর্শকের মনে দাগ কেটেছে। নাটকটির প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করে নির্মাতা ও লেখক ইশতিয়াক আহমেদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, মুন্না ভাই ও তপু খানের ‘সম্মান’ দেখলাম। দারুণ গল্প।
জোভান অভিনেতা হিসেবে তার শতভাগ দিয়েছেন। কেয়া পায়েল সবসময়ই সাবলীল, প্রাণবন্ত। আর যার কথা বলতে একটু আয়োজন করে নিতে হয়, তিনি তারিক আনাম খান। আমি সবসময়ই ওনাতে মুগ্ধ। ক্লাব ইলেভেন এন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেলে নাটকটির মন্তব্যের ঘরে রাফি আহমেদ নামে এক দর্শক লিখেছেন, ‘সম্মান’ নাটকটি এক কথায় বাস্তব জীবনে আমাদের শিক্ষক এবং গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান ও তাদের গুরুদক্ষিণা দেওয়ার পরিপূর্ণ দৃষ্টান্ত প্রকাশ করে।
কৌস্তব সান্ত্রা নামে ভারতীয় এক দর্শক নাটকটি দেখে মুগ্ধতা জানিয়ে লিখেছেন, কাঁটাতারের ওপার থেকে ‘সম্মান’ নাটকটি দেখলাম। এই বছর ঈদের সেরা সেরা নাটক এটি হওয়া উচিত। বাস্তব জীবনে শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা তো এখন আর দেখাই যায় না খুব একটা। আমি বিগত ৭ বছর ধরে বাংলাদেশের নাটকগুলো দেখি নিয়মিত। এক কথায় অসাধারণ। মিজানুর নামে একজন লিখেছেন, হয়তো একদিন জোভান ভাইয়ের মনে থাকবে না এমন একটি নাটকে তিনি অভিনয় করেছিলেন। বর্তমান সময়ে শিক্ষকের প্রতি সম্মান আগের মতো নাই। বর্তমান সমাজটা কেমন একটা হয়ে যাচ্ছে। অসাধারণ সুন্দর একটি নাটক।
আদৃতা নামে এক দর্শক লেখেন, এ ধরনের নাটকের জাতীয় পুরস্কার পাওয়া উচিত। নাটকটি মিসর থেকে দেখেছেন রবিউল ইসলাম নয়ন। নিজের অনুভূতি জানিয়ে তিনি লিখেছেন, নাটকটি রিলিজ হবার ১ ঘণ্টা পরই দেখা শুরু করলাম। পুরো নাটকই কান্না করে দেখেছি। এমন সৎ নিষ্ঠাবান শিক্ষকের ছাত্র রাফিরা হাজার বার জন্মাক।