ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সোনাপাতি ফুটেছে

মাইকের মতো দেখতে কাঁচা হলুদ রঙের ফুল

মোরসালিন মিজান 

প্রকাশিত: ২৩:৩৪, ২৬ জুন ২০২৩

মাইকের মতো দেখতে কাঁচা হলুদ রঙের ফুল

থোকায় থোকায় ফুটে আছে সোনাপাতি ফুল। বিজয় সরণি থেকে তোলা

গাছভর্তি ফুল। হলুদ থোকা থোকা ফুল এখন কারও চোখ এড়াচ্ছে না। এদিকে ওদিক তাকালে কোথাও না কোথাও দৃশ্যমান হচ্ছে সোনাপাতি। হ্যাঁ, আজ সোনাপাতির গল্পই করা যাক। 
‘সেনপাতি’ শব্দের সঙ্গে আমরা খুব পরিচিত। কিন্তু সেনাপাতি নয়, ফুলটির নাম সোনাপাতি। দু’য়ের মধ্যে কোনো সম্পর্ক কি আছে? না, এমন কিছু প্রতীয়মান হয় না। তবে অনেকের দৃষ্টিতে সোনাপাতির রং হলুদ নয়, সোনা রঙে ফুল। সোনাপতি নামকরণের এটি একটি কারণ হতে পারে। আর এ ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম টেকমা স্টানস। আরও কিছু নাম আছে। এই যেমনÑ ইয়োলো বেলস, ইয়োলো ট্রামপেট, ইয়োলো এলডার। আর সবচেয়ে সুন্দর নামটি সম্ভবত চন্দ্রপ্রভা। 
এই বর্ষায় গাছের দিকে তাকাতে হয় না। আপনি ফুলের দিকে চোখ চলে যায়। সোনাপাতি গাছ কিছুটা ঝোপের মতো হয়। একই গাছের আবার দুটি প্রজাতি। বড় প্রজাতির গাছে বড় ফুল। ছোটটিতে অপেক্ষাকৃত ছোট ফুল ফোটে। রঙের দিক থেকে উভয় প্রজাতি এক ও অভিন্ন। উপরের দিকে ছড়ানো গাছে সবুজ পাতা। সেই সবুজ রীতিমতো ঢেকে দেয় গাঢ় হলুদ রঙের ফুল। কাছে গিয়ে ভালো করে খেলায়াল করলেই এক একটি ফুলের আকৃতি অনুমান করা যায়। ফুলগুলো লম্বা মাইকের মতো দেখতে। কেউ কেউ তাই মাইক ফুল বলে চালিয়ে দিচ্ছেন! এমন বেশকিছু ‘মাইক’ নিয়ে একটি তোড়া। প্রতিটি তোড়ায় হলুদের মাখামাখী। থোকা থোকা হলুদে গোটা গাছটি বিশেষ দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। 
উদ্ভিদবিদ দ্বিজেন শর্মার গবেষণা থেকে জানা যায়, সোনাপাতি ক্রান্তীয় আমেরিকান প্রজাতি। ছোট প্রজাতির গাছ ৩ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। এর সরু ডালের দুই পাশে ঘনপাতা। দল ফানেলের আকার চওড়ায় ৩-৪ সেমি। সোনাপাতির বড় প্রজাতিটির নাম গৌরীচৌরী। এই গাছ ৪ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। একই রকম যৌগপত্র।  
দেশের অন্য অনেক স্থানের মতো রাজধানীতেও আছে সোনাপতি গাছ। সাম্প্রতিক সময়ে এই গাছ ব্যাপকহারে লাগানো হয়েছিল। রাস্তা বা ঝিলের ধারে লাগানো গাছে এখন ফুল আর ফুল। লক্ষ্য করেছেন নিশ্চয়ই। আরও কিছুদিন থাকবে। উপভোগ করুন সৌন্দর্যটা।

×