ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

হাওড় রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতিতে জড়িতদের শাস্তি চায় বিএনপি

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ১৮ মে ২০২২

হাওড় রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতিতে জড়িতদের শাস্তি চায় বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনাসহ বিভিন্ন জেলার হাওড় রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কৃষক দল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে এ দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়াও তিনি হাওড় অঞ্চলের কৃষি ও কৃষকের অর্থনৈতিক সুরক্ষায় আট দফা সুপারিশ পেশ করেন। ফখরুল বলেন, কৃষকদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত হাওড়াঞ্চল সরেজমিনে পরিদর্শন ও কৃষকদের দুর্দশার চিত্র দেখে এসেছেন। এ বিষয়ে তারা একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। এই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি বছর সুনামগঞ্জ জেলায় বাঁধ নির্মাণে সরকারী বরাদ্দ ছিল ১২২ কোটি এবং গত ৫ বছরে বরাদ্দকৃত টাকার পরিমাণ ছিল ৬২১ কোটি টাকা। কিন্তু এই বড় অঙ্কের টাকা বাঁধ রক্ষায় তেমন কোন কাজে আসেনি। কারণ, বরাদ্দকৃত টাকা হারে লুটপাট হয়েছে। সরকারী দলের লোকদের পাশাপাশি সরকারী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই টাকা হরিলুট করেছেন। আর হাওড় রক্ষায় যে সকল বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে তা এতই দুর্বল যে, মাত্র ২৪ ঘণ্টার পানির চাপ সামলাতে পারে না। সংবাদ সম্মেলনে হাওড় অঞ্চলের কৃষি ও কৃষকের অর্থনৈতিক সুরক্ষায় আট দফা সুপারিশ পেশ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উত্থাপিত সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- হাওড় রক্ষা বাঁধ নির্মাণে সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করতে হবে। এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে বছর বছর বাঁধ নির্মাণ না করে সিমেন্ট ও বালু দিয়ে তৈরি ব্লক ফেলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। এ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনা সুদে বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। ঋণগ্রস্ত কৃষকের ঋণের সুদ মওকুফ এবং স্বাভাবিক অবস্থা না ফেরা পর্যন্ত ঋণের কিস্তি নেয়া বন্ধ করতে হবে। হাওড় অঞ্চলে শস্য বিমা চালু করতে হবে, হাওড় অঞ্চলের কৃষকের আর্থ-সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য গণমুখী কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে হবে এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। আর হাওড়াঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
×