ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব শুরু ২৭ জানুয়ারি

প্রকাশিত: ২৩:৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২২

বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব শুরু ২৭ জানুয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক প্রদান অনুষ্ঠান। আর এই প্রথমবারের মতো কবিতা নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ের কোন উৎসব। ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসককে নিয়ে এই উৎসব উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এ উৎসবে সারাদেশের প্রায় সোয়া ৩শ’ সংগঠনের সাড়ে চার হাজার আবৃত্তিশিল্পী অংশ নেবেন। আগামী ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উৎসবের উদ্বোধন এবং এবং পদক প্রদান করবেন। ‘জন্মের সুবর্ণে জাগো সম্প্রীতির স্বরে মুক্তির ডাক দেয় পিতা আজও ঘরে ঘরে’ স্লোগানে সারাদেশের আবৃত্তি সংগঠনগুলোর ফেডারেশন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ এ উৎসবের আয়োজন করেছে। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন ব্যবস্থাপনায় সারাদেশের প্রতিটি জেলা থেকে ভার্চুয়ালি সাড়ে চার হাজার আবৃত্তিশিল্পী এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হবেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ এ উদ্যোগ নিয়েছে। ২৭ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। জেলা পর্যায়ের আবৃত্তি সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অনলাইনে এই আয়োজনে অংশ নেবেন। ৬৪ জেলায় একই সঙ্গে স্থানীয় সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণে উৎসবের অনুষ্ঠানমালা চলবে। এ ছাড়া, প্রতিদিন বিকেল চারটায় শুরু হবে উৎসবের আয়োজন। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় ঢাকা মহানগরের আবৃত্তি সংগঠনগুলো আবৃত্তি পরিবেশনায় অংশ নেবেন। উৎসব উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরেন আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আহ্কাম উল্লাহ্। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন তালুকদার, যুগ্ম সম্পাদক আজহারুল হক আজাদ, মীর মাসরুর জামান রনি ও মাসুদুজ্জামান। আহ্কাম উল্লাহ্ বলেন, প্রথমবারের মতো জাতীয় কোন পুরস্কার সংগঠনের মাধ্যমে দেয়ার অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে জন্য আমরা গর্বিত। আবৃত্তি শিল্পীরা যাতে মুক্তিযুদ্ধের কবিতা, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখিত কবিতা পাঠ করতে না পারে, সে জন্য একটা সময় দেশের সবগুলো মিলনায়তন বরাদ্দ দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। আবৃত্তি শিল্পীরা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় শত বিরোধিতার মুখে পথে-ঘাটে কবিতা পড়েছে। আজ আবৃত্তিকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বর্তমান সরকার, যা আমাদের গর্বিত করে। তিনি জানান, এ বছর ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক’ প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে ২০২০ সালের জন্য গোলাম মুস্তাফাকে (মরণোত্তর) এ পদক প্রদান করা হবে। ২০২১ সালের জন্য সৈয়দ হাসান ইমাম ও আশরাফুল আলম এবং ২০২২ সালের জন্য জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, কাজী মদিনা ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ পদক প্রদান করা হবে। এবার করোনাকালের জন্য জানুয়ারিতে এ পদক প্রদান করা হলেও এরপর প্রতিবছর ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে এ পদক প্রদান করা হবে বলে জানান আহ্কাম উল্লাহ্। এ ছাড়াও আবৃত্তি শিল্পের বিকাশে অবদানের জন্য দেশের ৫০ জন আবৃত্তিকারকে ‘বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি স্মারক’ প্রদান করা হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি স্মারক’ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। ব্যক্তি পর্যায়ে পদকপ্রাপ্তরা হলেন- ওয়াহিদুল হক (মরণোত্তর), নাজিম মাহমুদ (মরণোত্তর), কামাল লোহানী (মরণোত্তর), নিখিল সেন (মরণোত্তর), অধ্যাপক নরেন বিশ্বাস (মরণোত্তর), কাজী আবু জাফর সিদ্দিকী (মরণোত্তর), মৃনাল সরকার (মরণোত্তর), হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য (মরণোত্তর), তারিক সালাহউদ্দীন মাহমুদ (মরণোত্তর), খান জিয়াউল হক (মরণোত্তর), রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, ম. হামিদ, এস এম মহসিন (মরণোত্তর), অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী, কাজী আরিফ (মরণোত্তর), ইশরাত নিশাত (মরণোত্তর), নাসির উদ্দীন ইউসুফ, অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, প্রজ্ঞা লাবনী, কেয়া চৌধুরী, পিযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ড. আব্দুল মালেক, লিয়াকত আলী লাকী, গোলাম কুদ্দুছ, বিপ্লব বালা, রণজিত রক্ষিত (মরণোত্তর), কামরুল হাসান মঞ্জু (মরণোত্তর), নিমা রহমান, খালেদ খান (মরণোত্তর), হারুন-অর রশিদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, সাগর লোহানী, রূপা চক্রবর্তী, লায়লা আফরোজ, ডালিয়া আহমেদ, বেলায়েত হোসেন, ইস্তেকবাল হোসেন, মীর বরকত, গোলাম সারোয়ার, হাসান আরিফ, মোকাদ্দেস বাবুল, এনামুল হক বাবু, আজমল হোসেন লাবু, মোহাম্মদ কামাল, রফিকুল ইসলাম, রেজীনা ওয়ালী লীনা, ইকবাল খোরশেদ, ফয়জুল আলম পাপ্পু, কাজী মাহতাব সুমন, মাসুদুজ্জামান, মীর মাসরুর জামান রনি, রাশেদ হাসান, আজহারুল হক আজাদ, শিমুল মুস্তাফা, মাহিদুল ইসলাম, মোঃ আহকাম উল্লাহ্ ও আসাদুজ্জামান নূর।
×