ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন বাংলাদেশের

প্রকাশিত: ১৯:৪৮, ১৬ জুন ২০২১

এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন বাংলাদেশের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফিফা বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেলার সুযোগ আগেই হাতছাড়া হয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের জন্য। তাছাড়া এশিয়া অঞ্চলের ই-গ্রুপে বুধবার দিবাগত রাতে অনুষ্ঠিত নিজেদের শেষ ম্যাচেও শক্তিশালী ওমানের কাছে ৩-০ গোলে হারের হতাশা দিয়ে মিশন শেষ করে লাল-সবুজ বাহিনী। কিন্তু এই হারেও একটি আশার প্রদীপ প্রজ্বলিত হয়েছে। সেটি হচ্ছে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে জেমি ডের শিষ্যরা। ফলে এই সুসংবাদে নিশ্চয়ই উৎফুল্লই হবেন এদেশের ফুটবলপ্রেমীরা। উল্লেখ্য, ফিফা বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো বিবেচিত হচ্ছে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের খেলা হিসেবেও। এই আসরের প্রিলিমিনারি জয়েন্ট রাউন্ড-২ তে খেলছে বাংলাদেশ (রাউন্ড-১ এ লাওসকে ১-০ গোলে হারিয়ে এবং ০-০ গোলে ড্র করে গোল এগ্রিমেন্টে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে বাংলাদেশ)। ওমানের কাছে হারে সবাই যখন ধরে নিয়েছিলেন এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের গণ্ডি থেকে এই বুঝি ছিটকে পড়ে বাংলাদেশকে এখন ‘বাছাইয়ের বাছাইপর্ব’ (প্লে-অফ রাউন্ড) খেলতে হবে, তখনই জানা গেল সুখবরটি, প্লে-অফ নয়, বাংলাদেশ বাছাইপর্বেই খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নিয়েছে। পাঠকদের কাছে বিষয়টি খোলাসা করা যাক। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এশিয়ান জোনে মোট ৮টি গ্রুপে ৫টি করে মোট ৪০টি দেশ খেলছে। বাংলদেশ আছে ই-গ্রুপে। এই গ্রুপে তারা খেলা শেষ করেছে পঞ্চম স্থানে থেকে। নিয়ম অনুযায়ী সব (৮) গ্রুপের পঞ্চম হওয়া দলগুলোর মধ্যে সেরা তিনে থাকায় বাংলাদেশ বাছাইপর্বে খেলতে পারবে। এর মাধ্যমে দিয়ে বাংলাদেশ আরও ৬টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশ গতবার এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্লে অফ পর্বে দুই দফা হেরেছিল। প্রথমবার তাজিকস্তানের বিরুদ্ধে, পরেরবার ভুটানের বিরুদ্ধে। ভুটান-বিপর্যয়ের পর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বাইরে ছিল এক বছরের বেশি সময়। বাংলাদেশ ১৯৮০ সালে কুয়েতেই প্রথম ও একবারের মতো এশিয়ান কাপের মূলপর্ব খেলেছিল।
×