ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

রাবিতে যোগদানের দাবিতে এবার ভিসিকে অবরুদ্ধ করলো ‘গণনিয়োগ’ প্রাপ্তরা

প্রকাশিত: ১৭:৫০, ৩১ মে ২০২১

রাবিতে যোগদানের দাবিতে এবার ভিসিকে অবরুদ্ধ করলো ‘গণনিয়োগ’ প্রাপ্তরা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ কর্মস্থলে যোগদান করানোর দাবিতে এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব), উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করেছে এডহকের নিয়োগ প্রাপ্তরা। যোগদানের দাবিতে আন্দোলনরত অধিকাংশই সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। সোমবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্রলীগরা। বেলা এগারটা দিকে উপাচার্য সম্মেলন কক্ষে প্রসাশনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিসহ ডিনদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বেলা সোয়া এগারাটার দিকে নিয়োগপ্রাপ্তরা সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা কর্মস্থলে পদায়নের দাবি জানান। এসময় ডিনরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে নিয়োগপ্রাপ্তরা উপাচার্যসহ প্রশাসনের শীর্ষকর্তাব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এক পর্যায়ে প্রশাসনের শীর্ষব্যক্তিরা নিয়োগপ্রাপ্তদের কাছ থেকে সময় নিয়ে নিজেরা বৈঠক করেন। দুপুর একটায় ফের বেঠকে বসেন নিয়োগপ্রাপ্তদের সঙ্গে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান সুমন বলেন, আমরা গত ০৬ মে যোগদান করেছি। ক্যাম্পাস খোলায় আমরা নিজ দফতরে জয়েন্ট করতে এসেছি। কিন্তু রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য নিয়ম বহির্ভূতভাবে যোগদানে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। যদিও তিনি বলছেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে কিন্তু তারা কোনো ডকুমেন্টস দেখাতে পারেন নি। তাই আমরা যোগদানের দাবিতে অবরোধ করেছি। জানতে চাইলে রুটিন দায়িত্বে থাকা রাবির উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, নিয়োগে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা ছিল। তার ওপর মন্ত্রণালয় এটিকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। এই অবস্থায় পদায়ন করা সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত, গত ৬ মে শেষ কর্মদিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিদায়ী ও বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বিতর্কিত এক নিয়োগ কা- ঘটিয়েছেন। রাবিতে ১৪১ জনের নিয়োগ নিয়োগ নিয়ে সারাদেশে আলোচনা, সমালোচনার ঝড় উঠে। সেদিনই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ নিয়োগ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে। এরমধ্যে কমিটির প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে জমা দেওয়া হয়। তদন্ত কমিটি নিয়োগ বাতিল করে সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়েছে বিধায় বিচারের আগেই পালিয়ে যেতে পারেন আশঙ্কায় এ সুপারিশ করেন। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এভাবে নিয়োগ দিয়ে সাবেক উপাচার্য স্পষ্টতই আইন ও প্রশাসনিক রীতি-নীতি ভেঙেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
×